বাংলা: ৪ (রবি হাঁসদা ২, মনোতোষ মাজি, নরহরি শ্রেষ্ঠা)
সার্ভিসেস: ২ (বিকাশ থাপা, জুয়েল আহমেদ মজুমদার)
হায়দরাবাদের ডেকান এরিনায় বাংলা দলের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে শেষমেশ ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত। সেমিফাইনালে গতবারের চ্যাম্পিয়ন সার্ভিসেসকে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে সন্তোষ ট্রফির ফাইনালে জায়গা করে নিল বাংলা। সাত বছর পর এই ঐতিহাসিক সুযোগ পেল সঞ্জয় সেনের ছেলেরা।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলার পরিকল্পনা নিয়েছিল বাংলা। ১৭ মিনিটে নরহরি শ্রেষ্ঠার নিখুঁত পাস থেকে মনোতোষ মাজি একটি দুর্দান্ত মাটি ঘেঁষা শটে গোল করে এগিয়ে দেন দলকে। পিছিয়ে পড়েও সার্ভিসেস ম্যাচে সমতা ফেরানোর জন্য চাপ সৃষ্টি করছিল। তবে প্রথমার্ধের সংযুক্তি সময়ে নরহরি শ্রেষ্ঠার পাস থেকে রবি হাঁসদা গোল করে ব্যবধান বাড়ান। এরপর আরও একবার নরহরি শ্রেষ্ঠা নিজের অসাধারণ দক্ষতায় গোল করে ৩-০ ব্যবধানে প্রথমার্ধ শেষ করেন। চলতি সন্তোষ ট্রফিতে এটি ছিল নরহরির ষষ্ঠ গোল।
বিরতির পর খেলায় ফিরে আসার চেষ্টা করে সার্ভিসেস। ৫৩ মিনিটে বিকাশ থাপা দুর্দান্ত হেডে একটি গোল শোধ করেন। এরপর বাংলার ডিফেন্ডার জুয়েল আহমেদের আত্মঘাতী গোলে ম্যাচের স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৩-২। এই অবস্থায় কিছুটা চাপে পড়ে বাংলা। তবে ম্যাচের শেষ দিকে নরহরি এবং রবি হাঁসদার নেতৃত্বে দল নিজেদের সামলে নেয়।
ম্যাচের সংযুক্তি সময়ের শেষ মুহূর্তে রবি হাঁসদা আরও একটি গোল করেন, যা তাঁর একাদশ গোল এই প্রতিযোগিতায়। ৩৩তম সন্তোষ ট্রফি জয়ের লক্ষ্যে ফাইনালে কেরল বা মণিপুরের মধ্যে বিজয়ী দলের মুখোমুখি হবে বাংলা।
এবার বাংলার সমর্থকরা তাকিয়ে রয়েছেন সেই মহারণের দিকে। বাংলার এই পারফরম্যান্স কি সাত বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটাবে? সেটাই এখন দেখার।