
পঞ্জাব ১ (ভিদাল) – ইস্টবেঙ্গল ৩ (দিয়ামানতাকোস, মহেশ, লালচুংনুঙ্গা)
দুই ম্যাচে দুই জয়! মহমেডানের পর এবার পঞ্জাবকে হারিয়ে আইএসএলের প্লে-অফের আশা জিইয়ে রাখল ইস্টবেঙ্গল। রবিবার দিল্লির মাঠে পঞ্জাবকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়ে লাল-হলুদ শিবির আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠল। গোলদাতাদের তালিকায় নাম তুললেন দিমিত্রিয়স দিয়ামানতাকোস, নাওরেম মহেশ ও লালচুংনুঙ্গা।
যদিও প্লে-অফের দৌড়ে ইস্টবেঙ্গলের সম্ভাবনা খুব একটা উজ্জ্বল নয়, তবে এই জয় দলকে সুপার কাপ ও এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের আগে আত্মবিশ্বাস জোগাবে। এই তিন পয়েন্ট নিয়ে লাল-হলুদ এখন উঠে এল লিগ টেবিলের অষ্টম স্থানে।
ম্যাচের খতিয়ান:
অস্কার ব্রুজো পঞ্জাবের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে সাউল ক্রেসপোকে ফিরিয়ে আনেন, তবে দলে আর কোনও বড় পরিবর্তন আনেননি। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে ইস্টবেঙ্গল।
খেলার ১৫ মিনিটেই এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। প্রতিপক্ষের রক্ষণের ভুল কাজে লাগিয়ে বাঁ দিক থেকে বল পান দিয়ামানতাকোস। তাঁর নেওয়া বাঁ-পায়ের শট সরাসরি গোলকিপারের হাতে যাওয়ার কথা থাকলেও, রবি কুমারের ভুলে বল তাঁর পায়ের ফাঁক গলে জালে জড়িয়ে যায়।
এরপর কয়েক মিনিটের ব্যবধানে আরও একটি সহজ সুযোগ পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। বাঁ দিক থেকে রাফায়েল মেসি বোউলির ক্রসে দিয়ামানতাকোসের নেওয়া শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি বলে বিষ্ণুর সামনে খোলা গোল থাকলেও তিনি বারের উপর দিয়ে মেরে বসেন। প্রথমার্ধে আর কোনো গোল হয়নি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ইস্টবেঙ্গল ম্যাচের ভাগ্য প্রায় নিশ্চিত করে ফেলে। ৪৭ মিনিটে মেসি বোউলি বাঁ দিক থেকে বল বাড়ান বিষ্ণুকে। তাঁর শট রক্ষা পেলেও রিবাউন্ড পেয়ে যান মহেশ। সুযোগ হাতছাড়া না করে জোরালো শটে স্কোরলাইন ২-০ করেন তিনি।
ইস্টবেঙ্গলের তৃতীয় গোল আসে ফ্রিকিক থেকে। মহেশের নেওয়া ফ্রিকিক পঞ্জাব গোলকিপার রবি কুমার ফিস্ট করলেও বল পৌঁছয় বিষ্ণুর কাছে। তাঁর শটের রিবাউন্ড থেকে দিয়ামানতাকোস চেষ্টা করলেও প্রতিহত হয়। শেষমেশ লালচুংনুঙ্গা জোরালো শটে বল জালে জড়িয়ে দেন।
ম্যাচের শেষ দিকে পঞ্জাব একটি গোল শোধ করলেও, ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণভাগ বাকি সময়টা ভালোভাবেই সামলে নেয়। উল্টে, লাল-হলুদ দল আরও কিছু সহজ সুযোগ নষ্ট না করলে ব্যবধান আরও বড় হতে পারত।
এই জয়ের ফলে ইস্টবেঙ্গল আরও আত্মবিশ্বাস নিয়ে পরবর্তী ম্যাচের জন্য প্রস্তুতি নেবে।