কথিত আছে, জোর যার মুলুক তার। ভারতীয় ফুটবলে বার বার সত্য প্রমাণিত হচ্ছে এই প্রবাদ। ময়দানে রেফারির ভুল সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করতে গিয়ে কার্ড দেখতে হয়ে খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফদের। অনেককে আবার নিষিদ্ধ করা হয় বেশ কিছু ম্যাচের জন্য। অথচ ম্যাচের পর ম্যাচ ভুল করেও ফের সুযোগ পান রেফারিরা।
এবারে রেফারির ক্ষোভের মুখে পরল বঙ্গসন্তান প্রবির দাস। ৮ই অক্টোবর মুম্বাই সিটি এফসির বিরুদ্ধে খেলতে গিয়ে রেফারির এক সিদ্ধান্ত মানতে না পেরে তার দিকে রাগী ভাব নিয়ে এগিয়ে যায় প্রবির। শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির তরফে বলা হয় ম্যাচ চলাকালীন রেফারির দিকে আক্রমনাত্মক ভাবে এগিয়ে যায় সে। সেইসময় রেফারিকে স্পর্শ করে প্রবির। সেই কারণেই তাকে কঠিন শাস্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কমিটি।
আরও পড়ুন: মন ভাঙলো ভারতীয় সমর্থকদের! ভারতে আসছেনা নেইমার জুনিয়র
মুম্বাই ফুটবল এরেনায় মুম্বাই সিটি এফসি এবং কেরালা ব্লাস্টার্সের মধ্যে এই ম্যাচ রণক্ষেত্রের রূপ নেয় সেদিন। ম্যাচের শেষ মুহুর্তে শারীরিক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দু’দলের খেলোয়াড়েরা। মুম্বাই সিটি এফসির খেলোয়াড় Yoell van Nieff এবং কেরালার খেলোয়াড় Miloš Drinčić কে লাল কার্ড দেখান রেফারি। এরপর দুই খেলোয়াড়কেই তিন ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয় শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে। তবে প্রবিরের উপর এআইএফএফ এর এই সিদ্ধান্ত অবাক করে অনেককেই। কারণ সেই সময় রেফারিকে ঘিরে প্রতিবাদ করে অনেক খেলোয়াড়। উপস্থিত ছিল মুম্বাই সিটি এফসির অনেক খেলোয়াড়ও। তাহলে কেন বেছে বেছে প্রবিরকেই এমন শাস্তি দেওয়া হলো?
কেরালা ব্লাস্টার্স এফসির সাথে এই ব্যানের সম্পর্ক নতুন নয়। গত মরশুমের সেমিফাইনালে বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে ম্যাচে ফ্রি-কিক ঘিরে রেফিরির সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেনি তারা। সম্পুর্ন সময়ের আগেই দল তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেন দলের হেডকোচ। পরে ক্লাব এবং কোচ দুজনকেই আর্থিক জরিমানা করা হয় এফএসডিএল এর পক্ষ থেকে। তাদের নির্দেশে ১০ ম্যাচের জন্য নির্বাসিত করা হয় দলের কোচকে।