
চমৎকার মাঠ, ঠান্ডা আবহাওয়া, তবে জয় এখনও অধরা ইস্টবেঙ্গলের জন্য। পারো এফসির বিপক্ষে ড্র করে মাঠ ছেড়েছে লাল-হলুদ ব্রিগেড, কিন্তু এই ড্রয়ের মধ্যেও ইতিবাচক দিক খুঁজে নিচ্ছেন কোচ অস্কার ব্রুজোঁ ও সমর্থকেরা।
ইস্টবেঙ্গল-পারো এফসি ম্যাচের পর গ্রুপের অন্য দুই দল বসুন্ধরা কিংস ও নাজমে এসসি মুখোমুখি হয়। নিজেদের ম্যাচ শেষে গ্যালারিতে বসে প্রতিপক্ষ দলগুলোকে পর্যবেক্ষণ করলেন কোচ ব্রুজোঁ ও সহকারী কোচ বিনো জর্জ। দুই প্রতিপক্ষের খেলায় তেমন শক্তির ছাপ না থাকলেও, ব্রুজোঁর দল এখন প্রতিপক্ষ নিয়ে নয় বরং নিজেদের সমস্যা সমাধানে মনোযোগী। একের পর এক ম্যাচে হারতে হারতে দলের আত্মবিশ্বাসে ভাঁটা পড়েছে। যদিও পারো এফসি শক্তিশালী প্রতিপক্ষ নয়, তবুও তাদের হারাতে না পারায় সমর্থকদের হতাশা স্বাভাবিক। তবে টানা আট ম্যাচে হারের পর এই এক পয়েন্ট অর্জন, দিয়ামান্তাকোসের গোল পাওয়া, পিছিয়ে থাকা অবস্থায় ঘুরে দাঁড়ানো—এই সমস্ত দিকগুলো হয়তো ভবিষ্যতে দলের হারানো আত্মবিশ্বাস ফেরাতে সহায়ক হবে। ব্রুজোঁ বলেন, “প্রথম ম্যাচ হারলে ছিটকে পড়তাম। ড্র করার ফলে টুর্নামেন্টে এখনও আমাদের সুযোগ আছে।”

পেনাল্টির বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “পেনাল্টিটা একদম অনাবশ্যক ছিল। প্রতিপক্ষ দল রেফারির সহায়তায় খেলেছে। ব্যক্তিগত ভুলে গোল খাওয়াটাও একটি সমস্যা, যা এই মরশুমে বারবার ঘটছে। তবে সদর্থক দিক হল, গোল খেয়ে ফিরে আসতে পেরেছি এবং প্রচুর সুযোগ তৈরি করেছি। আমরা ভালোই খেলেছি।”
দলের সমস্যা সম্পর্কে বলতে গিয়ে ব্রুজোঁ জানান, “পুরো ম্যাচে ২০-২৫টি সুযোগ তৈরি করাও সম্ভব নয়, আবার প্রতিপক্ষের গোলগুলো সহজে শোধ করে দেওয়া যায় না। মাঠে হয়তো আমরা ভালো খেলছি, কিন্তু দুই বক্সে এর প্রতিফলন ঘটছে না। ফুটবল হল দুই বক্সের খেলা। আমাদের উন্নতি প্রয়োজন, আর সেটা সম্ভব টানা দুই-তিনটি ম্যাচে জয়লাভের মাধ্যমে। এতগুলো হারের পর এই ড্র আমাদেরকে টুর্নামেন্টে টিকিয়ে রেখেছে, যা কম কথা নয়।”
পরবর্তী ম্যাচ মঙ্গলবার বসুন্ধরার বিপক্ষে। ব্রুজোঁ জানিয়ে দিয়েছেন, এবার শুধু ড্র করলেই চলবে না, জয় পেতে হবে। প্রথম ম্যাচে নাজমে ইতিমধ্যেই জয় পেয়ে গেছে, ফলে এবার ম্যাচের গুরুত্ব আরও বেড়েছে। প্রতিপক্ষ দুই দলের শক্তির দিক থেকেও আহামরি কিছু মনে হয়নি প্রথম ম্যাচের পর। তবু নিজ দলের উন্নতিতেই ফোকাস রেখে ব্রুজোঁ লাল-হলুদ সমর্থকদের ভিডিও বার্তার মাধ্যমে উদ্দীপ্ত করছেন, যেন দল আরো দৃঢ় মনোবলে মাঠে নামে।