নর্থইস্ট ইউনাইটেড ইতিহাস সৃষ্টি করল, মোহনবাগান সুপার জায়েন্টকে টাইব্রেকারে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ডুরান্ড কাপের শিরোপা জিতল জন অ্যাব্রাহামের দল। প্রথমার্ধে মোহনবাগানের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখে মনে হচ্ছিল নর্থইস্টের পক্ষে ম্যাচে ফিরে আসা কঠিন হবে, কারণ তারা তখন ০-২ গোলে পিছিয়ে ছিল। কিন্তু পেড্রো বানালির কৌশলে দ্বিতীয়ার্ধে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ায় নর্থইস্ট। মাত্র দুই মিনিটের ব্যবধানে দুটি গোল শোধ করে তারা। এই প্রতিযোগিতায় যা মোহনবাগান বহুবার করেছে, ফাইনালে সেটাই করে দেখাল নর্থইস্ট ইউনাইটেড।
ম্যাচের ৯ মিনিটের মাথায় মোহনবাগান একটি পেনাল্টি পায়। বক্সের মধ্যে সাহাল আব্দুল সামাদের জার্সি টানেন আশির আখতার। গ্রেগ স্টুয়ার্টের পাস ধরে শট নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন সাহাল, কিন্তু আশিরের বাধার কারণে সফল হতে পারেননি। রেফারি তৎক্ষণাৎ পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন, যা থেকে জেসন কামিন্স মোহনবাগানকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন।
মোহনবাগান প্রথম গোল পাওয়ার পরেও আক্রমণের ধার বাড়াতে থাকে। শুভাশিস বসু, টম অ্যালড্রেড, এবং অ্যালবার্তো রড্রিগেজের নেতৃত্বে তাদের ডিফেন্স দুর্দান্তভাবে কাজ করে। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগে সাহাল আব্দুল সামাদের গোলে মোহনবাগান ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। লিস্টন কোলাসোর ক্রস থেকে পাওয়া বলে সামাদ গোল করেন।
দ্বিতীয়ার্ধে নর্থইস্ট ইউনাইটেড ধীরে ধীরে ম্যাচে ফিরে আসে। আজারে প্রথম পোস্টে শট নিয়ে বিশাল কাইতকে বিট করেন, যা দিয়ে নর্থইস্ট প্রথম গোল পায়। জিতিন এম এসের পাস থেকে গোল করেন আজারে। এরপর ৫৮ মিনিটে গুয়েরমোর দারুণ শটে নর্থইস্ট সমতা ফেরায়, যেখানে বিশালের কিছু করার ছিল না।
টাইব্রেকারে মোহনবাগানের জেসন কামিন্স প্রথম শট বাইরে মারেন, তবে পরে গোল করতে সক্ষম হন। নর্থইস্টের হয়ে গুয়েরমো, পার্থিব গোগই, এবং আজারে গোল করেন। মোহনবাগানের মনবীর সিং এবং পেত্রাতোসও গোল করেন, কিন্তু লিস্টন কোলাসোর শট সেভ করেন গুরমীত সিং। শেষ পর্যন্ত শুভাশিস বসুর শট সেভ করে নর্থইস্টকে চ্যাম্পিয়ন করেন গুরমীত।
এই জয়ে ডুরান্ড কাপের শিরোপা প্রথমবারের মতো নর্থইস্ট ইউনাইটেডের ঝুলিতে যায়, যা ক্লাবটির জন্য একটি স্মরণীয় অর্জন।