
এক বছর আগের হতাশা থেকে শিক্ষা নিয়েই এ বার ইতিহাস গড়ল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। শনিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে উত্তেজনাপূর্ণ এক ফাইনালে বেঙ্গালুরু এফসি-কে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ইন্ডিয়ান সুপার লিগে দ্বিমুকুট (লিগ শিল্ড ও প্লে অফ কাপ) জিতল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। নির্ধারিত সময় ১-১ সমতায় শেষ হওয়ার পর অতিরিক্ত সময়ে জয়সূচক গোল করে স্বপ্নপূরণ করল হোসে মোলিনার দল।
ম্যাচের চিত্রনাট্য: নাটকীয় মোড় ও ঐতিহাসিক জয়
প্রথমার্ধে ম্যাচে আধিপত্য ছিল বেঙ্গালুরু এফসি-র। সুনীল ছেত্রী-আলবার্তো নগুয়েরা-রায়ান উইলিয়ামসরা একাধিক সুযোগ তৈরি করলেও গোলের মুখ খুলতে পারেননি। প্রথমার্ধে গোললাইন সেভ করে মোহনবাগানকে বাঁচান শুভাশিস বোস। তবে দ্বিতীয়ার্ধে নাটকীয় মোড় নেয় ম্যাচ।

৪৯ মিনিটে আত্মঘাতী গোল করেন বেঙ্গালুরুর ডিফেন্ডার আলবার্তো রড্রিগেজ। যদিও সেই গোলের জবাব দেন অস্ট্রেলিয়ান ফরোয়ার্ড জেসন কামিংস। ৭২ মিনিটে তাঁর নেওয়া পেনাল্টি গোলে ম্যাচে সমতা ফেরায় মোহনবাগান।
নির্ধারিত সময়ের পর অতিরিক্ত সময়ে আসে মাহেন্দ্রক্ষণ। ৯৬ মিনিটে গ্রেগ স্টুয়ার্টের পাস থেকে দুর্দান্ত গোল করেন জেমি ম্যাকলারেন। ওই গোলেই দ্বিতীয়বার আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গর্ব অর্জন করে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট।
পরিসংখ্যানে পিছিয়ে থেকেও জয়ের ছক
বল পজেশন এবং সফল পাসে পিছিয়ে থাকলেও কার্যকারিতায় বাজিমাত করে বাগান। পুরো ম্যাচে মাত্র ৩৮.৫% বল পজেশন এবং ৬৫% পাস সফল হলেও তাদের ছয়টি শট ছিল লক্ষ্যে। তুলনায় বেঙ্গালুরুর ছিল ৬১.৫% পজেশন এবং ৭৮% পাস সফলতা, কিন্তু গোলের ক্ষেত্রে কার্যকর হতে পারেনি তারা।
খেলার মূল মুহূর্তগুলি:
- ৪৯’: আত্মঘাতী গোল, বেঙ্গালুরু ১-০ এগিয়ে
- ৭২’: পেনাল্টি থেকে গোল, কামিংস সমতা ফেরান (১-১)
- ৯৬’: জয়সূচক গোল ম্যাকলারেনের, মোহনবাগান ২-১ এগিয়ে
- ১০২’: পেট্রাটস নামান কোচ মোলিনা, আক্রমণে ধার বাড়াতে
ক্লাবের ইতিহাসে নতুন অধ্যায়
দেড় মাস আগেই লিগ শিল্ড জিতে রেখেছিল মোহনবাগান। এ বার প্লে-অফ কাপ জিতে ইতিহাসে প্রথমবার দ্বিমুকুট ঘরে তুলল তারা। হোসে মোলিনার কোচিংয়ে এটি ক্লাবের অন্যতম বড় সাফল্য।
ম্যাচের সেরা
জেমি ম্যাকলারেন (মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট) — জয়সূচক গোলের পাশাপাশি গোটা ম্যাচে অসাধারণ পারফরম্যান্সে ম্যাচের হিরো।