
কলকাতা লিগ ২০২৫-এর অভিযান শুরুতেই অপ্রত্যাশিত ধাক্কা খেল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। প্রতিশোধের আশায় মাঠে নামলেও পুলিশ অ্যাথলেটিক ক্লাবের বিরুদ্ধে ১-০ গোলে হার মানল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। গত মরশুমেও পুলিশের বিরুদ্ধে হোঁচট খেতে হয়েছিল মোহনবাগানকে, এবারও তার ব্যতিক্রম হল না।
বিরতির ঠিক আগের মুহূর্তে ম্যাচের একমাত্র গোলটি আসে পুলিশের হয়ে মহম্মদ আমিল নঈমের বাঁ পায়ের ফ্রিকিক থেকে (৪৭ মিনিট)। দ্বিতীয়ার্ধে একাধিক গোলের সুযোগ তৈরি করেও সমতা ফেরাতে ব্যর্থ হন মোহনবাগানের ফুটবলাররা। ম্যাচজুড়ে দুরন্ত পারফরম্যান্স করেন পুলিশের গোলকিপার সুরজ আলি, যিনি একাধিক সেভ করে দলের জয় নিশ্চিত করেন।
ম্যাচের শুরুটা কিন্তু আশাব্যঞ্জক ছিল মোহনবাগানের পক্ষে। দ্বিতীয় মিনিটেই সালাউদ্দিনের পাস থেকে গোলের সম্ভাবনা তৈরি হলেও, সুরজ আলির কৃতিত্বে বঞ্চিত হন তাঁরা। এরপর ৭ মিনিটে সালাউদ্দিনের নেওয়া ফ্রিকিকও রুখে দেন পুলিশের এই তরুণ গোলকিপার।
একের পর এক আক্রমণ শানালেও গোলে রূপান্তরিত করতে ব্যর্থ হন মোহনবাগান। ৩০ মিনিটে পুলিশের এক শট মোহনবাগানের ডিফেন্ডার মার্শাল কিস্কুর হাতে লাগলেও, রেফারি দেবব্রত সরকার পেনাল্টি না দেওয়ায় বিতর্ক তৈরি হয়।
৪৬ মিনিটে পুলিশের ফ্রিকিক থেকে গোল করে যান আমিল নঈম, যা শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণ করে দেয়। বিরতির সময় মোহনবাগান ১-০ পিছিয়ে পড়ে।
দ্বিতীয়ার্ধে মোহনবাগান মরিয়া হয়ে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করলেও ভাগ্য সহায় হয়নি। ৪৮ মিনিটে পাসাং দর্জি তামাং একেবারে ফাঁকা গোলে বল পাঠাতে ব্যর্থ হন। পুলিশের তরফেও ফয়জল একটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন (৫৬ মিনিট)। ম্যাচের শেষভাগে বারবার পুলিশ ডিফেন্সে আক্রমণ শানায় সবুজ-মেরুনরা, কিন্তু সেই আক্রমণগুলির একটিও সফল হয়নি।
শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গেই হতাশায় ফেটে পড়েন মোহনবাগান সমর্থকেরা। কোচ ডেগি কার্ডোজোর বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন ‘গো ব্যাক’ স্লোগানে। ম্যাচ-পরবর্তী সাংবাদিক সম্মেলনে কোচ জানান, তাঁরা মাত্র দু’সপ্তাহ সময় পেয়েছিলেন অনুশীলনের জন্য। সেই অল্প প্রস্তুতি নিয়েই মাঠে নামতে হয়েছিল। তবে পরবর্তী ম্যাচগুলিতে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যেই এগোতে চান বলে জানান তিনি।
এই হার মোহনবাগানের জন্য যেমন হতাশাজনক, তেমনই ফুটবলার ও কোচিং স্টাফের উপর চাপ বাড়াল অনেকটাই। সমর্থকেরা এখন তাকিয়ে পরবর্তী ম্যাচে দলের পারফরম্যান্সের দিকে।