মোহনবাগানের জন্য আইএসএলের এই মরশুমের শুরুটা মোটেই আশানুরূপ হয়নি। গতবারের লিগ-শিল্ড জয়ী দলটি এবার তিনটি ম্যাচের মধ্যে একটি করে জয়, ড্র এবং হারের সম্মুখীন হয়ে দশম স্থানে নেমে গেছে। তবে একটি জয় তাদের দ্রুত তৃতীয় বা চতুর্থ স্থানে তুলে আনতে পারে। শনিবার নিজেদের ঘরের মাঠে মহমেডানকে হারিয়ে সেই সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে চান কোচ হোসে মোলিনা।

এবারের আইএসএলে মোহনবাগানকে পরপর দুটি ডার্বি খেলতে হবে। মহমেডানের পর আন্তর্জাতিক ফুটবলের বিরতি শেষে তারা মাঠে নামবে ইস্টবেঙ্গলের বিপক্ষে। এই চাপের পরিস্থিতিতে মোলিনা কিছুটা চিন্তিত হলেও, দলের খেলোয়াড়দের মানসিকতা নিয়ে তিনি আত্মবিশ্বাসী।

ফুটবলপ্রেমীরা আইএসএলের তিন প্রধানের মধ্যে মহমেডানের খেলা সবচেয়ে আকর্ষণীয় বলে মনে করছেন। মহমেডানকে নিয়ে মোলিনা বলেন, “মহমেডানের মতো প্রতিপক্ষ সব সময় কঠিন। তারা খুব ভালো ফুটবল খেলছে এবং প্রতিপক্ষকে চাপে রাখছে। শনিবার আমাদের জন্য মোটেই সহজ ম্যাচ হবে না, তবে আমরা কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে জয় ছিনিয়ে আনতে চাই।”

মাঝমাঠে প্লে-মেকারের অভাব মোহনবাগানের পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলছে। দিমিত্রি পেত্রাতোস থাকলেও গোল তৈরি করতে সমস্যা হচ্ছে, কারণ জনি কাউকো এবং হুগো বুমোসের অনুপস্থিতি অনুভব করা যাচ্ছে। মোলিনা যদিও এ নিয়ে ভাবিত নন। তিনি বলেন, “আমার হাতে যে খেলোয়াড়রা রয়েছে, আমি তাদের নিয়েই খুশি। ওরা নিজেদের সেরাটা দিতে পারলেই আমরা জয় পাব। উন্নতির জায়গা রয়েছে, তবে আমরা আশাবাদী।”

পূর্ববর্তী ম্যাচের হারের প্রসঙ্গে মোলিনা জানান, “বেঙ্গালুরু আমাদের ভুলের সুযোগ নিয়ে গোল করেছে। যদিও আমরা তিন গোলে হারের মতো খারাপ খেলিনি। আমাদেরও গোল করা উচিত ছিল। তবে রক্ষণে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। আমরা উন্নতি করছি এবং ভবিষ্যতে আরও ভালো ফলাফল দেখতে পাব।”

মোহনবাগানের পরবর্তী ম্যাচের প্রস্তুতি নিয়ে মোলিনা বলেন, “ইরানে যেতে হয়নি বলে আমরা অতিরিক্ত সময় পেয়েছি। এই সময়ের মধ্যে প্রস্তুতি ভালো হয়েছে। তবে মাঠেই আসল খেলা হবে, এবং সেখানেই আমাদের ভালো পারফর্ম করতে হবে।”

মোলিনার পদত্যাগ নিয়ে ওঠা গুজবের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমার ওপর কোনও চাপ নেই। অন্য ক্লাবের ঘটনা নিয়ে আমি ভাবছি না, আমি মোহনবাগানের ভবিষ্যৎ নিয়েই চিন্তিত।”

ফরোয়ার্ড জেসন কামিংসও কোচকে সময় দেওয়ার পক্ষে। তিনি বলেন, “নতুন কোচ এসেছে, তাই একে অপরকে বোঝার জন্য কিছুটা সময় প্রয়োজন। আমরা ঘুরে দাঁড়াব এবং আরও ভালো করব।”

দলের গোল করার ক্ষমতা নিয়ে কামিংস বলেন, “আমরা অনেক গোল করেছি, তবে গোল খাওয়ার ব্যাপারে আরও সতর্ক হতে হবে।”

এবার মোহনবাগান কৌশলগত উন্নতির মাধ্যমে ঘুরে দাঁড়াতে কতটা সক্ষম হয়, সেটাই দেখার অপেক্ষা।

Enable Notifications OK No thanks