মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের তারকা স্ট্রাইকার জেমি ম্যাকলারেন এ বারও কলকাতা ডার্বির আগে নিজের প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখছেন না। অস্ট্রেলিয়ান ফুটবলার হওয়ার সুবাদে তাঁর বন্ধু হলেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার মার্কাস স্টোয়নিস। ভারতে পা রাখার আগেই স্টোয়নিসের সঙ্গে কথা হয়েছিল ম্যাকলারেনের। স্টোয়নিস তাঁকে জানিয়েছিলেন, ভারতে খেলাধুলার প্রতি মানুষের আবেগ কতটা গভীর।
ম্যাকলারেন বলেন, “ভারতে আসার আগে স্টোয়নিস বলেছিল, এখানে খেলাধুলা নিয়ে মানুষ অসম্ভব আবেগপ্রবণ। সেটা আমি আগেই জানতাম। সেই কারণেই কলকাতার মতো ঐতিহ্যবাহী ক্লাবে সই করার সিদ্ধান্ত নিই। আমার প্রথম ডার্বির আগে অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেটার জাস্টিন ল্যাঙ্গারের সঙ্গে কথা হয়েছিল। তাঁর পরামর্শ আমাকে ভরসা দিয়েছিল। এ বারও দু’জনের পরামর্শ মাথায় রেখে খেলব।”
ডার্বির স্মৃতি এখনও টাটকা
শেষ বার যুবভারতীতে হওয়া ডার্বির স্মৃতি এখনও উজ্জ্বল ম্যাকলারেনের মনে। তাঁর এবং পেত্রাতোসের গোলে সেই ডার্বি জিতেছিল মোহনবাগান। এ বারের ডার্বি হবে গুয়াহাটিতে। গঙ্গাসাগর মেলার কারণে কলকাতায় ডার্বি আয়োজন সম্ভব হয়নি। যদিও এই পরিবর্তন নিয়ে হতাশ ম্যাকলারেন। তিনি বলেন, “যুবভারতীর মতো পরিবেশে খেলতে পারা অসাধারণ অভিজ্ঞতা। আশা করব, গুয়াহাটিতেও সমর্থকের ভিড়ে মাঠ ভরে যাবে। কলকাতা ডার্বি শুধুমাত্র ভারতের নয়, আমার মতে এটি এশিয়ার অন্যতম সেরা ডার্বি। মেলবোর্ন এবং স্কটল্যান্ড ডার্বি খেলেছি, কিন্তু কলকাতা ডার্বি অনেক বড়।”
উন্নতির লক্ষ্যে কাজ করছেন ম্যাকলারেন
মোহনবাগানের হয়ে আইএসএলে ১৩টি ম্যাচে ৫টি গোল করেছেন ম্যাকলারেন। তবে নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন তিনি। তাঁর কথায়, “আমি আরও গোল করতে চাই, গোলের পাস দিতে চাই। তবে আমাদের দল কোনও একজনের উপর নির্ভরশীল নয়। ডিফেন্ডার, মিডফিল্ডার, স্ট্রাইকার— সবাই গোল করছে। আমাদের লক্ষ্য লিগ শীর্ষে থাকা। আমি পরিশ্রম চালিয়ে যাচ্ছি, আরও ভালো খেলতে চাই।”
ডার্বির আগে নিজের এবং দলের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে অনুপ্রাণিত ম্যাকলারেন। সমর্থকদের জন্য নতুন শহরে ডার্বি হলেও, তাঁর প্রত্যাশা একই থাকবে— মাঠে পূর্ণ সমর্থন এবং অসাধারণ পারফরম্যান্স।