ভারতসেরা হওয়ার পর এবার নির্বাচনমুখী মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। সদ্য সমাপ্ত আইএসএলে লিগ-শিল্ড জয়ের আনন্দে ভাসছে ক্লাব, তার মধ্যেই ঘোষণা হলো নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করার কথা। আগামী ২০ মার্চ মোহনবাগান ক্লাবের কর্মসমিতির বৈঠক ডাকা হয়েছে, যেখানে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অসীম রায়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের ইলেকশন বোর্ডের হাতে ক্লাবের প্রশাসনিক ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে। নির্বাচনের আগপর্যন্ত এই বোর্ডই ক্লাবের দায়িত্ব সামলাবে।

নির্বাচন ঘিরে কী বললেন কর্তারা?

সোমবার ক্লাবের কর্মসমিতির বৈঠকে সহ-সভাপতি কুণাল ঘোষ স্পষ্ট জানিয়ে দেন, বর্তমান কমিটি নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে ক্ষমতায় থাকতে চায় না। তিনি বলেন, “গত তিন বছরে ক্লাবের প্রচুর উন্নয়ন হয়েছে। তবে আমরা শুরু থেকেই স্বচ্ছ নির্বাচন করতে চেয়েছি। ক্লাবের সংবিধান মেনেই আইনি পরামর্শ নিয়ে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

ক্লাবের সচিব দেবাশিস দত্ত মোহনবাগানের সাম্প্রতিক সাফল্যগুলোর কথা তুলে ধরে বলেন, “ফুটবলে তিনবার ভারতসেরা হয়েছি, ২২ বছর পর হকিতে নেমে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি, ২৭ বছর পর রাজ্য অ্যাথলেটিক্সে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। ক্রিকেটে পি সেন ট্রফিও জিতেছি। স্পোর্টস লাইব্রেরি তৈরি হয়েছে। এত সাফল্যের পরও আমরা দায়িত্ব হস্তান্তর করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

বিতর্ক উসকে দিলেন সৃঞ্জয় বসু

তবে মোহনবাগানের প্রাক্তন সচিব সৃঞ্জয় বসু এই সাফল্যের কৃতিত্ব নিয়ে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন। তাঁর মতে, বর্তমান প্রশাসনের সাফল্যের দাবিকে অতিরঞ্জিত করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “আগেও বহু সচিব ও কর্মকর্তা ক্লাবকে সাফল্য এনে দিয়েছেন। এখন ফুটবল বিনিয়োগকারীদের হাতে। তাহলে কৃতিত্ব কার? সঞ্জীব গোয়েঙ্কার, নাকি ক্লাব সচিবের? অতীতের অনেক সাফল্য অনেকের মনে থাকে না।”

আনন্দের আবহেই শুরু, শেষটা বিতর্কে মোড়া

এদিন অবশ্য লিগ-শিল্ড জয়ের আনন্দে মোহনবাগান ক্লাবে পতাকা উত্তোলন করা হয়। দেবাশিস দত্ত ও সৃঞ্জয় বসু একে অপরকে মিষ্টিমুখ করান। মোটের উপর খুশির আবহ থাকলেও, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিতর্কও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। তবে কর্মসমিতির দ্রুত নির্বাচনের পথে হাঁটার সিদ্ধান্তকে ইতিবাচকভাবেই দেখছেন অধিকাংশ সমর্থক।

Enable Notifications OK No thanks