ওড়িশার কাছে লজ্জার হার নিয়ে এএফসি কাপ থেকে বিদায় নিল মোহনবাগান। মোহনবাগানকে হারিয়ে পরবর্তী রাউন্ডের আশা বাঁচিয়ে রাখলো ওড়িশা এফসি। রয় কৃষ্ণার একটি গোল এবং দুই অ্যাসিস্টে বিরাট জয় পেলো তারা। উল্লেখ্য, প্রথম ম্যাচে এই মোহনবাগানের কাছেই ৪-০ গোলে হেরেছিল ওড়িশা। এই ম্যাচে তারই বদলা পুরোপুরিভাবে তুলে নিল তারা।

প্রথম হাফের শুরুর দিকে আক্রমণের তীব্রতা প্রায় সমান সমান ছিল দু’দলের। শুরুর দিকেই বেশ কিছু বড়ো সুযোগ তৈরি করে নেয় মোহনবাগান। সেইসব কোনরকমে সামলে নিতে পারলেও হুগো বুমোসের সেই দারুন শটের জবাব ছিল না ওড়িশার কাছে। ১৭ মিনিটের মাথায় তার সেই দারুন গোলে এগিয়ে যায় সবুজ মেরুন ব্রিগেড। আর এরপরেই যেন নিজেদের ধরন পুরোপুরি পাল্টে ফেলে ওড়িশা এফসি। একের পর এক আক্রমণে তছনছ করে দেয় মোহনবাগানের রক্ষণ। শুরুটা করেন দলের প্রাক্তন খেলোয়াড় রয় কৃষ্ণা। ২৯ মিনিটে তার গোলে সমতায় ফেরে ওড়িশা এফসি। ঠিক তিন মিনিট পরেই দ্বিতীয় গোল তোলে তারা। সেই গোলের ক্ষেত্রেও অবদান রাখে কৃষ্ণা। তার অ্যাসিস্ট থেকেই স্কোরশিটে নাম তোলে দিয়াগো মরিসিও। দুই গোল পাওয়ার পরেও চলতে থাকে ওড়িশার আক্রমণ। ফলস্বরূপ ৪১ মিনিটে দলের তৃতীয় গোলটি তুলে নেয় সাই গোদার্দ।

আরও পড়ুন: খেলা শুরুর আগেই চোটের তালিকায় মোহনবাগানের একাধিক

দ্বিতীয় হাফের শুরুটাও হয়েছে খানিকটা একই একই ভাবে। তবে পর পর সুযোগ নষ্ট করায় শুরুর দিকে ব্যবধান কমাতে পারেনি মোহনবাগান। ৬৩ মিনিটে দলের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করে কিয়ান নাসিরি। তবে এরপরে আবারও ছন্দপতন ঘটে রক্ষণের। অতিরিক্ত আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে খোলসা হয়ে যায় ডিফেন্স। দ্বিতীয় হাফের অতিরিক্ত সময়ে ওড়িশার হয়ে আরও দুই গোল করে মোহনবাগানের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেয় অনিকেত এবং আইজ্যাক।

পুরো ম্যাচ জুড়েই প্রশ্নের মুখে পড়েছে বাগানের রক্ষণ। সেই সাথে সমালোচনা হচ্ছে কোচের স্ট্র্যাটেজি নিয়েও। বার বার তার এমন পরিকল্পনায় বিফলতার মুখ দেখছে দল। তবুও সেই একই পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছেন তিনি। আনোয়ার আলীর চোটের পর প্রতি ম্যাচেই বিফলতার মুখ দেখছে দল। এই ম্যাচে আবার ৫ গোল হজমের লজ্জা। সব মিলিয়ে অতীব খারাপ ভাবেই চলতি মরশুমের জন্য এএফসি কাপ থেকে বিদায় নিতে হলো মোহনবাগানকে।

Enable Notifications OK No thanks