মরশুমের প্রথম চার ম্যাচ জিতে নতুন রেকর্ড গড়ল মোহনবাগান। জামসেদপুর এফসিকে ২-৩ গোলে হারিয়ে ফের টেবিল শীর্ষে সবুজ মেরুন ব্রিগেড। সেই সাথে প্রথম দল হিসেবে আইএসএলের প্রথম চার ম্যাচেই জয় পেল তারা। মূল দলের তিন খেলোয়াড় ছাড়াই এদিন নামে মোহনবাগান। চোটের কারণে আগেই বাইরে ছিল আনোয়ার। শারীরিক সমস্যার কারনে এই ম্যাচ খেলতে যায়নি দুই বিদেশি হুগো বুমোস এবং জেসন কামিংস। আক্রমণ ভাগের দুই খেলোয়াড় উপস্থিত না থাকলেও সুযোগ তৈরিতে কোনোরকম খামতি রাখেনি দল। এই ম্যাচেই আইএসএলে অভিষেক ঘটে জুনিয়র দলের হয়ে দারুন পারফরম্যান্স দেওয়া খেলোয়াড় সুহেল আহমেদ ভাটের।

শুরুতেই মহম্মদ সানানের গোলে পিছিয়ে গেলেও প্রথম হাফেই সমতা ফেরায় আরমান্দো সাদিকু। ৬ মিনিটেই রক্ষন এবং গোলকিপারের কথোপকথনের অভাবে প্রথম গোল হজম করে মোহনবাগান। ২৯ মিনিটে মানভীরের বাড়ানো বলে স্কোরলাইন সমান করে সাদিকু। গোল পাওয়ার পর থেকেই মাঠে আরও সচল হয় দুই দল। আক্রমণের পর আক্রমণ করে গেলেও ১-১ ফলাফলেই শেষ হয় প্রথম হাফ।

আরও পড়ুন: জামসেদপুর ম্যাচের আগে সমস্যায় মোহনবাগান! অসুস্থ দুই বিদেশি

দ্বিতীয় হাফের শুরু থেকেই আক্রমণের তীব্রতা বাড়ায় মোহনবাগান। অসাধারণ গতি এবং স্কিল দেখিয়ে ৪৮ মিনিটে দলকে এগিয়ে দেয় লিস্টন কোলাসো। প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে গেলেও জামসেদপুরের দৌড় আটকে দেয় টিপি রেহেনেশের রেড কার্ড। বক্সের বাইরে সাহালের ওপর ট্যাকেল করায় তাকে সাজঘরে পাঠান রেফারি। ৬৭ মিনিটে মোহনবাগানের ১১ জনের বিরুদ্ধে ১০ জন হয়ে যায় জামসেদপুর এফসি। এরপরেও বার বার চেষ্টা চালিয়ে যায় তারা। ৮০ মিনিটের মাথায় কিয়ান নাসিরির গোলে ব্যাবধান বাড়ায় মোহনবাগান। এর পাল্টা জবাব দিতে বেশিক্ষন দেরি করেনি জামসেদপুর। ৮৬ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যাবধান কমায় তারা। যদিও রেফারির এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। বক্সের বাইরে হেক্টরের ট্যাকেলে পেনাল্টি দেন তিনি।

জয় পেলেও প্রশ্ন উঠছে মোহনবাগানের রক্ষণভাগ নিয়ে। রক্ষণের ভুলেই দুটো গোল হজম করেছে দল। প্রথমে শুভাশিষ বোস এবং দ্বিতীয়বার হেক্টর ইউস্তে, দুজনের ক্ষেত্রেই দেখা গেল গোলরক্ষকের সাথে কথোপকথনের অভাব। দুই ক্ষেত্রেই বক্সের বাইরে চলে এসেছিল বিশাল কাইথ। এছাড়াও বহুবার দলের রক্ষনে আঘাত হানতে সফল হয়েছে জামসেদপুর এফসি। যত দ্রুত সম্ভব রক্ষণের ভুল ত্রুটি সুধরে নিতে হবে কোচকে।

Enable Notifications OK No thanks