গত মঙ্গলবার বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে এএফসি কাপের বড়ো ম্যাচ হেরে পরবর্তী রাউন্ডে উত্তির্ন হওয়া নিয়ে সমস্যায় মোহনবাগান। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দলের এমন পারফরম্যান্সে হতাশ হয়েছে সমর্থকেরা। বসুন্ধরার বিরুদ্ধে ঘরের মাঠেও কিছুটা একই অবস্থা হয়েছিল দলের। তবে সেখান থেকে এক পয়েন্ট তুলতে পারলেও গত ম্যাচে ফিরতে হয়েছে খালি হাতেই।

গত ম্যাচ হারার পর বসুন্ধরা কিংসের মাঠ নিয়ে অভিযোগ এনেছেন মোহনবাগানের কোচ এবং খেলোয়াড়েরা। এইরকম মানের মাঠে এএফসি কাপের মতো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট কিভাবে আয়োজন করা হলো, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। মাঠের একাধিক জায়গায় ছিলনা ঘাস। কোথাও পাতা হয়েছে কার্পেট, আবার কোথাও রং করে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও আয়োজকদের তরফে এই বিষয়ে জানানো হয়েছে, ম্যাচের আগে শেষ ১৩ দিনের ১০টি ম্যাচ আয়োজন করা হয়েছে এই মাঠে। তাই একপাশে কিছুটা জায়গা এমন হয়ে গেছে। তবে মোহনবাগানের অন্দরে খবর এই নিয়ে এএফসিতে চিঠি পাঠিয়েছেন কর্তারা। সেখানে উল্লেখ করেছেন মাঠ এবং স্টেডিয়ামের ইনফ্রাস্ট্রাকচারের অবস্থা।

আরও পড়ুন: আইএফএর সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ভবানীপুর! বাতিলের ডাক ইস্ট-মোহন ম্যাচ

মাঠ নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে কোচ বলেন, “এই মাঠের অবস্থা খুবই খারাপ। এএফসি কাপের মতো টুর্নামেন্টে এইরকম মাঠ গ্রহণযোগ্য নয়। তবে ম্যাচ হেরে আমি কোনো অভিযোগ দিতে চাই না। তবুও এই মাঠে এইরকম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ আয়োজন করা যায়না।” কিছুটা একই কথা শোনা গেল ডিফেন্ডার হামিলের মুখেও। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, “মাঠের অবস্থা নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। এইরকম মাঠে কোনো টুর্নামেন্ট খেলা সম্ভব নয়। আর এটা এএফসি কাপ। এখানে এত নিম্নমানের মাঠ আশা করা যায়না।”

যদিও এটা পরিষ্কার, এএফসিতে অভিযোগ করলেও এই ম্যাচের ফলাফল সংক্রান্ত আর কোনো বদল আসবে না। খারাপ ইনফ্রাস্ট্রাকচারের পাশাপাশি খারাপ খেলার কারণেও তিন পয়েন্ট হারিয়েছে মোহনবাগান। প্রথমে এগিয়ে গেলেও দলের রক্ষণকে আক্রমণে বিধ্বস্ত করে জয় তুলেছে বসুন্ধরা কিংস। প্রায় প্রতি ম্যাচেই শেষ কিছু মিনিটে বাড়তি চাপ আসছে দলের উপর। আর সেখানেই তৈরি হচ্ছে সমস্যা।

Enable Notifications OK No thanks