আনুষ্ঠানিকভাবে যুবভারতী থেকে সরানো হলো মোহনবাগানের এএফসি কাপের তৃতীয় ম্যাচ। আর সেই নিয়েই এবার কর্তাদের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করল একাধিক ফ্যান। আগামী ২৪ অক্টোবর বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে হোম ম্যাচ খেলতে নামবে সবুজ মেরুন ব্রিগেড। তবে নামে হোম ম্যাচ হলেও ঘরের বাইরেই এই ম্যাচে মাঠে নামতে হবে দলকে।
উল্লেখ, দুর্গাপুজোর কারণে সেই সময় যে কলকাতায় ম্যাচ আয়োজন করা সম্ভব নয় আগেই তা জানিয়ে দিয়েছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস। দুর্গাপুজো বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। আর কলকাতায় পুজো মানেই লক্ষাধিক লোকের সমাগম। তাই সেইসময় ম্যাচ আয়োজন করা মানে প্রশ্ন উঠবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ক্রীড়ামন্ত্রী। অগত্যা এই ঘোষণার পরেই বসুন্ধরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে মোহনবাগান ম্যানেজমেন্ট। তাদের কাছে অনুরোধ করা হয়, মোহনবাগান বনাম বসুন্ধরার হোম এবং অ্যাওয়ে ম্যাচের তারিখে কিছু পরিবর্তন করতে। কিন্তু তাদের এই অনুরোধে সাড়া দেননি ওপার বাংলার ক্লাবটির কর্তারা।
UPDATE: Our home clash vs Bashundhara Kings in the AFC Cup Group Stage will now kick off at 9.30 pm on 24th October at Kalinga Stadium! ?#MBSG #JoyMohunBagan #আমরাসবুজমেরুন pic.twitter.com/Qw28gIcmCk
— Mohun Bagan Super Giant (@mohunbagansg) October 11, 2023
তাই শেষমেশ আর কোনো উপায় না থাকায় পার্শ্ববর্তী রাজ্য ওড়িশার কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে এই ম্যাচ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেন মোহনবাগান ম্যানেজমেন্ট। তবে সমস্যা হলো সেদিন রাত ৯:৩০ এ মাঠে নামবে সবুজ মেরুন ব্রিগেড। তখন পুজো থাকায় বহু সমর্থক সেই সময় মাঠে গিয়ে দলের হয়ে গলা ফাটাতে পারবে না। যারা যাবেন, দীর্ঘ রাতে খেলা শেষ হওয়ায় সমস্যা হতে পারে তাদেরও।
আরও পড়ুন: Merdeka Cup এর ফরম্যাটে বদল! কার বিরুদ্ধে খেলবে ভারত?
এইসব কারণেই সোস্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ এবিং দুঃখ প্রকাশ করতে দেখা গেছে দলের সমর্থকদের। সেদিন আবার সন্ধে ৫:৩০ থেকে মাজিয়ার বিরুদ্ধে সেই মাঠেই খেলতে নামবে ওড়িশা এফসি। তাই কোনোভাবেই নির্ধারিত সময়ের আগে মোহনবাগানের মাঠে নামা সম্ভব হবে না।
চলতি মরশুমে মোহনবাগানকে কঠিন টক্কর দিতে পারে বসুন্ধরা কিংস। এএফসি কাপে ভারতের আরেক দল ওড়িশা এফসিকে হারিয়েছে তারা। অনেক পরিশ্রমি খেলোয়াড় রয়েছে তাদের দলে। কিন্তু বেআইনি মদ্য রাখায় নিজেদের একাধিক খেলোয়াড়কে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য ব্যান করেছে বসুন্ধরা। এই বিষয়টা বেশ অ্যাডভান্টেজ দিতে পারে মোহনবাগানকে।