গত সিজনের সমস্ত হতাশা কাটিয়ে আজ আই লীগের নতুন মরশুম শুরু করল মহামেডান স্পোর্টিং। মরশুমের প্রথম টুর্নামেন্ট ডুরান্ড কাপেই জানান দিয়েছিল পুরনো সমস্ত বিফলতা ভুলে এবার নতুন রূপে ফিরতে চলেছে দল। কলকাতা লীগেও বজায় ছিল সেই ধারাবাহিকতা। ফলস্বরূপ লীগের একাধিক ম্যাচ বাকি থাকতেই চ্যাম্পিয়নের তকমা পায় মহামেডান।

টুর্নামেন্ট বদলালেও বদলায়নি মহামেডানের খেলার ধরন। ঘরের মাঠে প্রথম মিনিট থেকেই প্রতিপক্ষ আইজল এফসির ওপর চাপ বজায় রেখেছে তারা। ফলস্বরুপ মাত্র ৭ মিনিটেই স্যামুয়েলের গোলে এগিয়ে যায় দল। যদিও সেই লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি মহামেডান। ১২ মিনিটে আইজলের হয়ে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করে লালরিনফেলা। এরপরেও দলের দুই উইঙ্গার লালরেমসাঙ্গা এবং স্যামুয়েল পরপর আক্রমণ চালিয়ে যেতে থাকে। সেই আক্রমণের ওপর ভর করেই খুব তারাতারি ফের খেলায় ফিরে আসে মহামেডান।
আরও পড়ুন: ট্রান্সফার বাজারে আগুন! ইস্টবেঙ্গলে চুড়ান্ত মহামেডানের ডেভিড?
রেমসাঙ্গা এবং গোমেজ ছোট ছোট পাসে বার বার ঢুকে পড়ছিল আইজলের বক্সে। তবে সেখানে গিয়েই নষ্ট হচ্ছিল সুযোগ। পরপর আক্রমণের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ২৮ মিনিটের মাথায় গোমেজের গোলে আবারও এগিয়ে যায় মহামেডান স্পোর্টিং। দ্বিতীয় হাফেও পজিশন ধরে রেখে মাঝমাঠে ছোট ছোট পাস খেলতে থাকে তারা। গোমেজ, রেমসাঙ্গা এবং কাসিমোভের বল দখলে ধিরে ধিরে খেলা থেকে সরে যেতে থাকে আইজল এফসি। এরপরেও তাদের গোলকিপারের তৎপরতায় আর গোল করতে পারেনি মহামেডান। একাধিক আক্রমন করেও আর জালে বল গড়াতে পারেনি সাদা কালো ব্রিগেড।

নির্ধারিত সময়ের শেষ লগ্নে সমতা ফেরানোর বড়ো সুযোগ পেলেও তাকে কাজে লাগাতে পারেনি আইজল এফসি। অতিরিক্ত সময়ে আবার রক্ষনকে ভেদ করে গোলের কাছাকাছি পৌঁছে গেছিলেন গোমেজ। তবে আইজল গোলরক্ষকের দুঃসাহসী সেভ আবারও বাঁচিয়ে দেয় দলকে। ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্ট তুললেও গোলের সংখ্যা বাড়াতে না পারাটা হয়ত খানিকটা ভাবতে বাধ্য করবে মোহামেডানের কোচকে। তবে জয় দিয়ে টুর্নামেন্টের শুরু নিঃসন্দেহে খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়িয়ে দেবে।