এবারের এএফসি যাত্রা একেবারেই ভালো ছিল না মোহনবাগানের জন্য। শুরুটা ভালো করলেও ছন্দ পতন হয়েছে বসুন্ধরা ম্যাচ থেকেই। তাদের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ ড্র এবং দ্বিতীয় ম্যাচ হারায় অনিশ্চয়তায় পড়েছিল দলের পরবর্তী রাউন্ডে খেলার সম্ভাবনা। গত ম্যাচে ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে হারের ফলে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গিয়েছে সবুজ মেরুন ব্রিগেড। তাই আগামীকাল মাজিয়ার বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচ দলের কাছে নিছকই নিয়মরক্ষার।
ওড়িশার বিরুদ্ধে ৪-০ গোলে জয় দিয়ে এবার এএফসি যাত্রা শুরু করেছিল মোহনবাগান। পরপর দুই ম্যাচে ধারাবাহিকতা বজায় থাকলেও তৃতীয় ম্যাচ থেকে শুরু হয়েছে ছন্দপতন। চতুর্থ এবং পঞ্চম হেরে গ্রুপ স্টেজ থেকেই বিদায় নিয়েছে দল। মাজিয়ার বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচ বাকি থাকলেও তা শুধুই নিয়মরক্ষার। তাই পুরো দল বদলে শেষ ম্যাচ খেলবে সবুজ মেরুন ব্রিগেড। গতকাল কলকাতা থেকে মালদ্বীপের উদ্দেশ্যে উড়ে গেছে দল। তবে নেওয়া হয়নি কোনো বিদেশি ফুটবলারকে। ভারতীয়দের মধ্যেও সিনিয়র দলের একাধিক ফুটবলার থাকবে বিরতিতে। একঝাঁক তরুণ খেলোয়াড়কে নিয়ে এই ম্যাচ খেলবেন সহকারী কোচ।
মাঝ মরশুমে চোট নিয়ে বড়সড় সমস্যায় মোহনবাগান। চোটের কারণে দলের বাইরে মানবীর সিং, দিমিত্রি পেট্রাটস এর মত খেলোয়াড়। গত ম্যাচে সেই তালিকায় জুড়েছে হুগো বুমোস সহ একাধিক নাম। যদিও পরবর্তী ম্যাচে দিমিত্রি, মানবীরদের দলে ফেরার সম্ভাবনা প্রবল। তবে এবার আইএসএলের দিকেই বেশি নজর দিতে চাইছেন ফেরান্ডো। শেষ ম্যাচে ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে ২ গোলে পিছিয়ে গিয়েও ঘুরে দাঁড়িয়েছে সবুজ মেরুন ব্রিগেড। ফলে বেশ খানিকটা আত্মবিশ্বাস বেড়েছে দলের।
গত মরশুমের এএফসি কাপের গ্রুপ স্টেজে ভালো ফুটবল খেলেছে মোহনবাগান। প্রথম ম্যাচে হেরে গেলেও ঘুরে দাঁড়িয়েছিল দল ছন্দপতন ঘটেছিল ইন্টার জোন প্লে অফ সেমিফাইনালে। সেখানে কুয়ালালামপুর সিটির বিরুদ্ধে ৩-১ গোলে হারে সবুজ মেরুন ব্রিগেড। তবে এবারের ছবিটা একেবারেই ভিন্ন। নামিদামি খেলোয়াড় নিয়েও সুযোগ হাতছাড়া করার খেসারত দিতে হয়েছে দলকে। এবার সময় ছোটখাটো সব ভুল ত্রুটি শুধরে ফের নতুনভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর। সেই লক্ষ্যেই এবার এগোচ্ছে মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট।