কলকাতায় লাল-হলুদ ব্রিগেডে আসছেন এক সাহসী, সুঠাম চেহারার ডিফেন্ডার — নাম মার্তণ্ড রায়না। আই লিগ মাতিয়ে এবার আইএসএলের মঞ্চে। জয়পুরের রাজস্থান ইউনাইটেড থেকে কলকাতার ইস্টবেঙ্গলে। একেবারে নতুন ঠিকানা, নতুন চ্যালেঞ্জ।

কে এই মার্তণ্ড?

রাজস্থান ইউনাইটেডের হয়ে গত মরসুমে খেলেছেন ২১টা ম্যাচ। শুধু রক্ষণ সামলেই থেমে থাকেননি, করেছেন ৪টে গুরুত্বপূর্ণ গোলও। এক কথায়, ডিফেন্ডার হয়েও গোল করার দক্ষতা রাখেন — এমন ফুটবলার খুব বেশি নেই।

আর এই প্রতিভাবান ডিফেন্ডারকে কিন্তু হাতের তালুর মতো চেনেন ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন গোলকিপার ও বর্তমানে কোচ সন্দীপ নন্দী। তিনি স্পষ্ট বলছেন, “মার্তণ্ডের লম্বা চওড়া গড়ন, ভয়ডরহীন মানসিকতা — ও ইস্টবেঙ্গলে এলে শুধু ক্লাব নয়, ও নিজেও অনেকটা উন্নতি করবে।”

সন্দীপ আরও তুলনা টেনেছেন এক পুরনো লাল-হলুদ প্রহরীর সঙ্গে — অর্ণব মণ্ডল। যিনি শুধু রক্ষণেই নয়, গোল করেও ইস্টবেঙ্গলকে জেতাতে সাহায্য করেছেন। মনে আছে সেই শিলিগুড়ির ফেডারেশন কাপ ফাইনাল? যেখানে অর্ণবের গোলে সমতা ফিরেছিল, আর ডেম্পাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মর্গ্যানের ইস্টবেঙ্গল!

মার্তণ্ডকে নিয়েও একইরকম স্বপ্ন দেখছে ক্লাব। প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার ট্রান্সফার ফিতে তাঁকে দলে আনা হয়েছে বলে খবর। লেসলি ক্লডিয়াস সরণীতে এবার এক নতুন পাহারাদার।

আর যাঁর হাতে পড়ছেন মার্তণ্ড — তিনি ইস্টবেঙ্গলের হেড কোচ অস্কার ব্রুজোঁ। সন্দীপ নন্দীর মতে, “এই রকম কোচের অধীনে মার্তণ্ডের মতো প্রতিভার বিকাশ হওয়া সময়ের অপেক্ষা মাত্র।”

শুধু একজন নতুন ফুটবলার নয়, ভবিষ্যতের জন্য এক সম্ভাবনাময় বিনিয়োগ — এমনটাই মনে করছে লাল-হলুদ শিবির।

কলকাতার মাটিতে এবার মার্তণ্ডের পারফরম্যান্স কেমন হয়, সেটা দেখতে অপেক্ষায় ফুটবলপ্রেমীরা।

Enable Notifications OK No thanks