জামশেদপুর ২ (সিভেরিয়ো, জ়াভি) মোহনবাগান ১ (কামিংস)

সেমিফাইনালের প্রথম পর্বে জামশেদপুরের মাঠে হেরে গেল মোহনবাগান। শেষ মুহূর্তের গোল তাদের জয় ছিনিয়ে নিল। আইএসএলের লিগ-শিল্ডজয়ীরা ১-২ ব্যবধানে পরাজিত হলো। জেসন কামিংসের দুর্দান্ত ফ্রিকিকও দলকে পরাজয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে পারল না। মোহনবাগান যে ফুটবল আইএসএলে উপহার দিয়েছে, এদিন তার ছাপ দেখা যায়নি। বাংলার ফুটবলার ঋত্বিক দাস দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে নেমে জ়াভির গোলে সহায়তা করেন, যা ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দেয়।

মনবীর সিংহ এবং আপুইয়া ছাড়া খেলতে নামে মোহনবাগান, যা দলের জন্য বড় ধাক্কা ছিল। রিজার্ভ বেঞ্চে ছিলেন দিমিত্রি পেত্রাতোস ও জেমি ম্যাকলারেন, যাদের অভাব বেশ স্পষ্ট ছিল। বিশেষ করে মাঝমাঠে আপুইয়ার অনুপস্থিতি মোহনবাগানের খেলায় প্রভাব ফেলে।

ম্যাচের শুরুতেই জামশেদপুর পেনাল্টির দাবি তোলে, যখন নিখিল বারলার শট আশিস রাইয়ের হাতে লাগে। তবে রেফারি কর্নারের সিদ্ধান্ত দেন। প্রথমার্ধে বলের দখল মোহনবাগানের বেশি থাকলেও আক্রমণে ধার ছিল জামশেদপুরের। মাঝমাঠে জাভি হের্নান্দেস দুর্দান্ত খেলেন, সতীর্থদের উদ্দেশ্যে একের পর এক নিখুঁত পাস বাড়ান। অন্যদিকে, মনবীরের জায়গায় নামা সাহাল সামাদ বলের সংস্পর্শে খুব একটা আসতে পারেননি।

৩৪ মিনিটে স্টুয়ার্টের ফ্রিকিক থেকে আলবের্তো রদ্রিগেসের হেড বারে লেগে ফিরে আসে। তবে তিন মিনিট পরেই সমতা ফেরায় মোহনবাগান। কামিংস দুর্দান্ত এক ফ্রিকিকে গোল করেন, যা আন্তর্জাতিক ফুটবলেও দুর্লভ। ৩৫ গজ দূর থেকে নেওয়া এই শট আলবিনো গোমসের পক্ষে আটকানো সম্ভব ছিল না।

দ্বিতীয়ার্ধে মোহনবাগান বলের দখল বেশি রাখলেও কার্যকরী আক্রমণ করতে পারেনি। জামশেদপুর প্রতি-আক্রমণ নির্ভর ফুটবলে মনোযোগ দেয়। জর্ডান মারে বেশ সক্রিয় থাকেন। ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয় ৮০তম মিনিটে, যখন বদলি খেলোয়াড় ঋত্বিক দাস বাঁ দিক থেকে নিখুঁত ক্রস বাড়ান এবং জ়াভি চলতি বলে গোল করে জামশেদপুরকে জয় এনে দেন।

এই জয়ের ফলে ফাইনালে ওঠার পথে এগিয়ে গেল জামশেদপুর, আর মোহনবাগানের জন্য ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ আরও কঠিন হয়ে গেল।

Enable Notifications OK No thanks