গতকাল ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে সাদিকুর জোড়া গোলে ড্র করেছে মোহনবাগান। প্রথম হাফেই ২-০ গোলে এগিয়ে যায় ওড়িশা এফসি। যদিও প্রথম গোলটা নিয়ে সংশয় না থাকলেও দ্বিতীয় গোলের ক্ষেত্রে প্রশ্নের মুখে পড়েছে রেফারির সিদ্ধান্ত। মাঝমাঠে সাহালের উপর মারাত্মক আঘাত করে আহমেদ জাহু। সেই আঘাতের কারণে প্রথম হাফেই মাঠ ছাড়তে হয় সাহালকে।
ওড়িশা এফসি বনাম মোহনবাগানের এই ম্যাচ কুস্তির থেকে কোনো অংশে কম ছিল না। ফাউলের কারণে মোট ৩৫ বার বাঁশি বাজিয়েছেন রেফারি। এছাড়াও বহু ছোটো খাটো ঘটনা উপেক্ষা করেছেন তিনি। ম্যাচে হলুদ কার্ড দেখানো হয়েছে মোট ৮ টি। ম্যাচ শেষেও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল মাঠে। দ্বন্ধে জড়িয়েছিলেন মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্ডো এবং ওড়িশা এফসির খেলোয়াড় রয় কৃষ্ণা। সেই ঘটনার পর লাল কার্ড দেখানো হয়েছে ডিয়াগো মোরিসিও এবং ফেরান্ডোকে। এর আগেও সাংবাদিক বৈঠকে প্রাক্তন খেলোয়াড় রয় কৃষ্ণার নাম শুনে ক্ষেপেছেন মোহনবাগানের হেডস্যার। তবে ক্লাবের পক্ষে অবশ্য দাবি কৃষ্ণাই বার বার উস্কে দেন ফেরান্ডোকে।
ওড়িশার বিরুদ্ধে এএফসি কাপে সেই হারের পুনরাবৃত্তি না হলেও চোট সমস্যা আবারও বড়সড় চিন্তার কারণ হয়ে উঠল বাগান ম্যানেজমেন্টের জন্য। আগে থেকেই চোটের তালিকায় নাম ছিল আনোয়ার আলী, আশিক কুরুনিয়ন, দিমিত্রি পেট্রাটস, মানবীর সিং দের। এই ম্যাচের শুরুতেই ওয়ার্ম আপ সেশনে হ্যামস্ট্রিং সমস্যায় প্রথম এগারো থেকে বাদ পড়েন হুগো বুমোস। এরপর একে একে চোটের কারণে মাঠের বাইরে চলে যায় সাহাল, অনিরুদ্ধ, গ্ল্যান, কিয়ান। বলা যায় বর্তমানে মাঠের বাইরে মোহনবাগানের প্রথম এগারোর প্রায় হাফ দল।
আরও পড়ুন: মোহনবাগানে খেলতে আগ্রহী আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা! সুযোগ হাতছাড়া বাগানের
ম্যাচ শেষে সাবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মোহনবাগানের অ্যাসিস্টেন্ট কোচ বলেন, কিয়ানের চোট খুব একটা গুরুতর নয়। তবে অনিরুদ্ধ, সাহালের চোট পরীক্ষা করার আগে বলা যাবে না। আগের তুলনায় এখন অনেকটা সুস্থ মানবীর, দিমিত্রি। হয়তো পরের ম্যাচেই মাঠে দেখা যেতে পারে তাদের। তবে কালকের ম্যাচ শেষে খেলোয়াড়দের যেমন অবস্থা দেখা গেল, তা চিন্তা বাড়াবে কোচের।