
আগামী ৪ জুন থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলবে ভারতীয় ফুটবল দল। সেই সফরের আগে নিজেদের ঝালিয়ে নিতে কলকাতায় দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে সুনীল ছেত্রীদের ভারত। প্রথম ম্যাচেই প্রতিপক্ষ সন্তোষ ট্রফি জয়ী বাংলা। সোমবার সেই ম্যাচেই নামছে মানোলো মার্কুয়েজের ছেলেরা।
থাইল্যান্ড সফরের আগে এই ম্যাচগুলো কোচ মানোলোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জাতীয় দল গঠনের আগে তিনি তরুণ এবং অভিজ্ঞ ফুটবলারদের পারফরম্যান্স কাছ থেকে দেখতে চান। বিশেষ করে সুহেল ভাট, নিখিল প্রভুদের মতো উঠতি প্রতিভাদের জন্য এই ম্যাচটাই হতে চলেছে নিজের যোগ্যতা প্রমাণের বড় মঞ্চ। থাইল্যান্ডগামী দলে জায়গা পেতে হলে এই ম্যাচেই নজর কাড়তে হবে তাদের।
দীর্ঘদিন পর মাঠে ফিরছেন অনেক সিনিয়র ফুটবলারেরাও। আইএসএল শেষ হওয়ার পর তাঁরা কোনও প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলেননি। তাই এই প্রস্তুতি ম্যাচ তাঁদের জন্যও নিজেকে ফিরে পাওয়ার বড় সুযোগ। কোচ মানোলো এই ম্যাচে সব ফুটবলারদের খেলানোর পরিকল্পনা করেছেন। সম্ভবত প্রথমার্ধে একদল এবং দ্বিতীয়ার্ধে অন্যদল নামানো হবে, যাতে প্রত্যেকেই সুযোগ পান নিজেদের মেলে ধরার।
বাংলা দলও এই ম্যাচে দারুণ উত্তেজিত। সুনীলদের মতো তারকাখচিত দলের বিরুদ্ধে খেলার সুযোগ খুব একটা আসে না। রবি হাঁসদা, চাকু মান্ডিরা এই চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি। মরশুম শেষ হলেও বাংলার কোচ সঞ্জয় সেন তিন দিনের অনুশীলনের আয়োজন করেছেন এই ম্যাচকে ঘিরে। বাংলার তারকারা যেমন নরহরি শ্রেষ্ঠা ইতিমধ্যেই অনুশীলনে যোগ দিয়েছেন।
এই প্রসঙ্গে সঞ্জয় সেন বলেন, “তিনদিনের প্র্যাকটিসে কতটা প্রস্তুতি হবে জানি না, কিন্তু জাতীয় দলের বিরুদ্ধে মাঠে নামার সুযোগই আমাদের জন্য বড়। ফলাফল নয়, বরং আমাদের লক্ষ্য ভারতীয় দলকে কঠিন লড়াই দেওয়া।”
মঙ্গলবার আরও একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে ভারতীয় দল, এইবার প্রতিপক্ষ উত্তর ২৪ পরগনা জেলা ক্রীড়া সংস্থা। যদিও প্রথমে ম্যাচটি নৈহাটি স্টেডিয়ামে হওয়ার কথা থাকলেও, শেষ পর্যন্ত তা রাজারহাটের সেন্টার ফর এক্সিলেন্সে আয়োজন করা হতে পারে বলে জানা গেছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, এশিয়ান কাপের যোগ্যতা পর্বে ভারতের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে গোলশূন্য ড্র করতে হয়েছে। পরবর্তী পর্বে পৌঁছাতে হলে বাকি ম্যাচগুলোতে জয় খুবই জরুরি। তাই থাইল্যান্ড সফরের প্রস্তুতি হিসেবে এই ঘরোয়া ম্যাচগুলো ভারতের জন্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।