মোহনবাগান ক্লাবের তরফে সম্প্রতি একটি বিপণন কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। ক্লাব তাঁবুর প্রবেশদ্বারের বাঁ দিকে অস্থায়ীভাবে তৈরি এই দোকানে স্কার্ফ, জলের বোতল, চাবির রিং, কফি মাগ-সহ বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রি শুরু হয়। বৃহস্পতিবার থেকে চালু হওয়া এই দোকানে গত দু’দিন ধরে সমর্থকেরা বেশ সাড়া দেন। বিকেল ৪টে থেকে সন্ধ্যা ৬.৩০টা পর্যন্ত দোকানটি খোলা থাকত।

তবে শুক্রবার সকালে ক্লাবের এই অস্থায়ী নির্মাণ ভেঙে দেয় সেনাবাহিনী। শুধু বিপণন কেন্দ্রই নয়, মাঠের চারপাশে লাগানো বিজ্ঞাপনী বোর্ড এবং ফুটবলারের আইস বাথের অস্থায়ী ব্যবস্থাও ভেঙে দেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনীর চারজন কর্মকর্তা ক্লাব প্রাঙ্গণে এসে এই ভাঙার কাজ করেন।

সেনাবাহিনীর যুক্তি এবং ক্লাবের প্রতিক্রিয়া:


সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ময়দান চত্বরে কোনও অনুমোদনহীন নির্মাণ দেখা গেলে তা নিয়ম অনুযায়ী ভেঙে ফেলা হয়। তবে মোহনবাগান ক্লাবের দাবি, এটি মূলত একটি ভুল বোঝাবুঝির ফল। ক্লাব সূত্রে জানা গিয়েছে, সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিষয়টি মিটমাট করা হয়েছে এবং দ্রুত বিপণন কেন্দ্রটি পুনরায় চালু করা হবে।

মোহনবাগান ক্লাবের সদস্য কৌশিক কোনার জানিয়েছেন, সেনাবাহিনীর চারজন কর্মকর্তা এসে বিভিন্ন অস্থায়ী নির্মাণ ভেঙে দিয়েছেন। তবে ক্লাবের পক্ষ থেকে সরকারি কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। ক্লাব সচিব দেবাশিস দত্ত দেশের বাইরে থাকায় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

ময়দানে সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ:


ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহমেডান-সহ ময়দানের প্রায় সব ক্লাবের তাঁবুই সেনাবাহিনীর অধীনস্থ। যে কোনও স্থায়ী বা অস্থায়ী নির্মাণের জন্য সেনাবাহিনীর অনুমতি আবশ্যক। ক্লাব থেকে অনুমতি নেওয়া হয়েছিল কি না, সেই বিষয়ে সঠিক তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি।

সেনাবাহিনীর এই পদক্ষেপে সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। ক্লাব প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, ভাঙা বিপণন কেন্দ্রের বিভিন্ন সামগ্রী এবং ক্লাবের লোগো দেওয়া ব্যানার, পোস্টার এলোমেলোভাবে ছড়িয়ে রয়েছে।

ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ক্লাব সমর্থকেরা দ্রুত এই সমস্যার সমাধান এবং বিপণন কেন্দ্রের পুনঃস্থাপনের দাবি জানাচ্ছেন।

Enable Notifications OK No thanks