প্রথম ম্যাচে কুয়েতের বিরুদ্ধে জয় আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে ভারতীয় খেলোয়াড়। দলের পরবর্তী প্রতিপক্ষ কাতার। গত ম্যাচে আশান্বিত ফলাফলের কারণে পরবর্তী রাউন্ডের অংকটা খানিকটা সহজ কোচ ইগর স্টিমাকের জন্য। তবে সামনে কাতার ম্যাচ ঘিরে রাখতে হবে অন্যরকম পরিকল্পনা।
আগামী ২১ নভেম্বর গ্রুপের সবচেয়ে কঠিন প্রতিপক্ষ কাতারের মুখোমুখি হতে চলেছে ভারত। নামটা যখন কাতার, তার তাদের নিয়ে কিছু বাড়তি ভাবনা রাখতে হবে কোচকে। সাথে থাকবে কুয়েত ম্যাচের আত্মবিশ্বাস। তবে শুধুই কি কুয়েত ম্যাচের আত্মবিশ্বাস? না, কাতারের বিরুদ্ধেও গতবার ঘুরে দাঁড়িয়েছিল ভারতীয় দল। ২০২২ ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ কোয়ালিফায়ার্সেও ভারতের সাথে একই গ্রুপে ছিল কাতার। আর সেখানে বিশ্বকাপের হোস্টদের রীতিমতো চমকে দিয়েছিল ভারতীয় দল।
এবারের মত প্রথম ম্যাচে সেবারও আফগানিস্তানকে ৬-০ গোলের বড়ো ব্যাবধানে হারিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হয়েছিল কাতার। সবারই প্রত্যাশা ছিল নিজেদের ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষেও একঘেয়ে জয় পাবে তারা। তবে খেলা শেষে ফলাফল জানিয়ে দিয়েছিল লড়াই করতে জানে ভারত। নির্ধারিত সময় শেষে ০-০ গোলে শেষ হয় খেলা। কাতারের একের পর এক আক্রমণ ঠেকিয়ে দেয় ভারতের রক্ষন। সেদিন হিরো হয়েছিলেন গুরপ্রিত সিং সন্ধু।
আরও পড়ুন: কুয়েতকে হারিয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপের স্বপ্নে একধাপ এগোলো ভারত
সেবার দ্বিতীয় রাউন্ডেও কাতারের বিরুদ্ধে দারুন খেলে ভারত। তবে ম্যাচের শুরুর দিকেই রাহুল ভেকে লাল কার্ড দেখায় রক্ষন নিয়ে সমস্যা পরে দল। ৩৩ মিনিটে কাতারের করা একটি গোলই জিতিয়ে দেয় তাদের। আক্রমণে বেশ কিছু সুযোগ পেলেও সেগুলোকে কাজে লাগাতে পারেনি ভারত। সবচেয়ে অবাক করা বিষয়, সেবার পুরো টুর্নামেন্টে একমাত্র ভারতের বিরুদ্ধেই পয়েন্ট হারায় কাতার।
তবে সেবারের তুলনায় বর্তমানে যথেষ্ট পরিপক্ক ভারতীয় দল। কিংস কাপে এবার ইরাকের মত প্রতিপক্ষের সাথে তারা যেভাবে দুঃসাহসিক ফুটবল খেলেছে, তা প্রশংসাযোগ্য। অন্যদিকে শেষ কিছু ম্যাচে ছন্দের অভাব দেখা গেছে কাতারের খেলায়। আর সেই সুযোগ নিয়েই তাদের হারানোর পরিকল্পনা বানাতে পারে ভারতীয় দল।