বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে এএফসি কাপের তৃতীয় ম্যাচের ফলাফলের চাইতেও দলের মূল খেলোয়াড় আনোয়ার আলীর চোট বেশি আহত করেছে ভারতীয় ফুটবল সমর্থকদের। শুধু মোহনবাগানের জন্য নয়, ভারতীয় জাতীয় দলের জন্যেও ভিষণ গুরুত্বপূর্ণ একজন খেলোয়াড় আনোয়ার। ১৬ নভেম্বর থেকে ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচ খেলতে নামবে ভারত। তবে সেখানে আনোয়ার আলীর উপস্থিতি নিয়ে তৈরি হচ্ছে অনিশ্চয়তা।
গত ২৪ অক্টোবর ওড়িশায় বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে গোড়ালিতে চোট পেয়ে মাঠ ছারতে হয় আনোয়ার আলীকে। এরপর পায়ে ব্যান্ডেজ নিয়ে গাড়িতে উঠতে দেখা যায় তাকে। এই ঘটনা চিন্তায় ফেলেছে দেশের ফুটবল প্রেমিদের। শুধু ক্লাব নয়, জাতীয় দলের জন্যেও অত্যন্ত প্রয়োজনীয় খেলোয়াড় আনোয়ার। তাই তার এই চোট দীর্ঘমেয়াদি হলে যে ভিষণ সমস্যায় পরবেন দুই কোচই, তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। কিন্তু এবার প্রশ্ন কতটা গুরুতর আনোয়ারের চোট? কবে ফের মাঠে নামতে পারবে সে?
আরও পড়ুন: প্রস্তুতি ম্যাচে ডায়মন্ড হারবার এফসির সাথেও ব্যার্থ ইস্টবেঙ্গল
জানা গেছে, পায়ের ফোলা খানিকটা কমলেও যন্ত্রনা এখনও কমেনি আনোয়ার আলীর। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ব্যাক্তিদের কথা অনুযায়ী চোট পাওয়ার সময় তাদের কানে একটা আওয়াজ ভেসে আসে। আর তারপরেই ব্যথায় ছটফট শুরু করে আনোয়ার। আপাতত যা খবর, হয়তো ডিসেম্বর পর্যন্ত আর মাঠে নামতে পারবে না সে। অর্থাৎ আইএসএলের প্রথম পর্বের প্রায় সব ম্যাচ সহ এএফসি কাপের বেশ কয়েকটি ম্যাচ এবং সাথে ভারতীয় জাতীয় দলের বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচগুলোয় হয়ত মাঠের বাইরেই থাকতে হবে আনোয়ার আলীকে।
শুধু রক্ষণ সামলানোই নয়, জুয়ান ফেরান্ডোর দলের আক্রমণ ভাগেও যথেষ্ট গুরুত্ব রেখেছে আনোয়ার আলী। গোল করে একাধিক ম্যাচে পয়েন্ট তুলেছে সে। মোহনবাগানের হয়ে ১৩ ম্যাচে ৩টি গোল রয়েছে তার নামে। শুধু তাই নয়, রক্ষনে তার উপস্থিতিতে ৪ ম্যাচে ক্লিন শিট রেখেছে সবুজ মেরুন ব্রিগেড। যদিও আনোয়ারের চোট সংক্রান্ত বিষয়ে এখনও সরকারি ভাবে কিছু জানা যায়নি। তবে ক্লাব সূত্রে খবর, তার মাঠে ফিরতে সময় লাগতে পারে এক মাসেরও বেশি।