মরশুমের মাঝপথে বেশ অস্বস্তিতে মোহনবাগান। প্রতি ম্যাচে রক্ষনে নেতৃত্ব দেওয়া আনোয়ার আলী চোটের কারণে অনিশ্চিত। ওড়িশার কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে খেলতে গিয়ে চোট পায় সে। সেই চোটের কারণেই আপাতত মাঠের বাইরে সে। কবে আবার মাঠে দেখা যাবে তাকে, সেই বিষয়েও নেই কোনো নিশ্চয়তা।
আনোয়ার আলীর চোটের পরেই ডামাডোল শুরু হয়েছে বাগানের রক্ষণে। প্রতি ম্যাচেই বাড়তি চাপ থাকছে অন্যান্য ডিফেন্ডারদের উপর। অনেক জায়গা তৈরি হচ্ছে বিপক্ষের খেলোয়াড়দের জন্য। শুধু রক্ষনে নয়, আক্রমণেও দলকে ভরসা দিয়েছে আনোয়ার। ফলে আরও চাপ মুক্ত ভাবে খেলতে পেরেছে বাকি খেলোয়াড়েরা। এবার প্রশ্ন মোহনবাগানের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ আনোয়ার আলী? চলুন এই মরশুমের একটা পরিসংখ্যান দেখাই আপনাদের।
আরও পড়ুন: AFC Cup: কোচের ভুল কৌশলেই ভরাডুবি মোহনবাগানের
চলতি মরশুমের শুরু থেকে মোহনবাগানের ১২ ম্যাচে উপলব্ধ ছিল আনোয়ার। তার মধ্যে রয়েছে ডুরান্ড কাপের গ্রুপ পর্বের ৩ ম্যাচ, প্লে-অফ পর্বের ৩ ম্যাচ, আইএসএলের ৩ ম্যাচ এবং এএফসি কাপের ৩ ম্যাচ। তার মধ্যে ডুরান্ড কাপের গ্রুপ পর্বে শুধুমাত্র ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে গোল হজম করেছে দল। প্লে-অফে গোল খেয়েছে ২ টি। আইএসএলের ৩ ম্যাচে ২ টি গোল খেয়েছে মোহনবাগান। এএফসি কাপের ৩ ম্যাচে গোল খেয়েছে তিনটি। অর্থাৎ আনোয়ার চোট পাওয়ার আগে ১২ ম্যাচে ৮ টি গোল হজম করেছে মোহনবাগান। তার মধ্যে বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে ২ টি এবং ইস্টবেঙ্গল, মুম্বাই সিটি এফসি, এফসি গোয়া, চেন্নাইন এফসি, পাঞ্জাব এফসি এবং মাজিয়ার বিরুদ্ধে একটি করে গোল খেয়েছে দল।
আনোয়ারের চোটের পর মাত্র দুই ম্যাচেই বেহাল অবস্থা দেখা গেছে দলের রক্ষণে। দুই ম্যাচে মোট চার গোল খেয়েছে মোহনবাগান। আইএসএলের শেষ ম্যাচে জামসেদপুর এফসির বিরুদ্ধে ২-৩ গোলে জয় পেয়েছে দল। অন্যদিকে এএফসি কাপের শেষ ম্যাচে বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে ২-১ গোলে হেরেছে সবুজ মেরুন ব্রিগেড। চার গোল খাওয়ার পাশাপাশি বার বার তাসের ঘরের মতো হয়ে যাচ্ছিল রক্ষন। যদিও সেইসব কারনে বড়সড় কোনো অঘটন হয়নি। তবে যেভাবে খেলোয়াড়দের মধ্যে কথোপকথনের অভাব দেখা যাচ্ছে এবং যেভাবে বিপক্ষের খেলোয়াড়েরা বক্সের ভেতর ঢুকে পড়ছিল সেটা নিয়ে ভাবতে হবে কোচকেও। আর এইসবেই প্রমাণ হয় মোহনবাগানের রক্ষণে কতটা গুরুত্ব রাখে আনোয়ার।
যদিও শেষ দুই ম্যাচে প্রশ্নের মুখে পড়েছে বাগান কোচের পরিকল্পনাও। বিপক্ষ বারবার রক্ষণ ভেদ করলেও খেলার ধরন পাল্টানোর বিষয়ে ভাবেননি তিনি। সেই সাথে মাঝমাঠেও বল ধরতে ব্যর্থ হয়েছে দল। গত ম্যাচে বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে হারার ফলে আপাতত এএফসি কাপের পরবর্তী রাউন্ড অনিশ্চিত মোহনবাগানের জন্য। এতেই বোঝা যায় আনোয়ার আলীর চোটে কতটা ভুগছে মোহনবাগান।