গত কিছু বছরে নজিরিহীন উন্নতি লক্ষ্য করা গেছে ভারতীয় ফুটবলে। সিনিয়র দল হোক বা বয়সভিত্তিক, সবেতেই দেখা গেছে নতুনত্বের ছোয়া। তবুও ছোটো খাটো কিছু অভিযোগ উঠে আসতো বিভিন্ন জায়গা থেকে। কিন্তু এবারের অভিযোগ এতটাই মারাত্মক যে রাগে ফেটে পড়বেন আপনিও।

ব্যাঙ্গালোরে কর্ণাটক স্টেট ইয়ুথ লীগের জন্য দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সোনারপুর ডায়নামিক স্পোর্টস একাডেমির ৮ থেকে ১৪ বছর বয়সী ১০ জন খেলোয়াড়কে দলে নেয় ব্ল্যাক প্যান্থার টোটাল ফুটবল ক্লাব। এত অল্প বয়সে এমন লীগে সুযোগ পাওয়ায় খুশি ছিল তাদের পরিবারও। ঠিক ছিল টুর্নামেন্টের জন্য চার মাস এই তরুণ খেলোয়াড়দের দলে রাখা হবে। কিন্তু কিছুদিন যেতেই শুরু হয় আসল ঘটনার। অভিযোগ, এই শিশুদের সাথে শ্রমিকের মতো আচরণ করেছে ম্যানেজমেন্ট। তদের দিয়ে বাসন মাজা, রান্না করার মত কাজ করানো হতো। এমনকি বাকি খেলোয়াড়, কোচদের নোংরা কাপড় ধুতে হতো বলে জানায় তারা।

আরও পড়ুন: সুপার কাপ ঘিরে বড়ো পরিবর্তন ফেডারেশনের! এএফসির আদলে হবে লীগ

দীর্ঘদিন পরিবারের সাথে কোনরকম যোগাযোগ করতে দেওয়া হয়নি এই শিশুদের। তাদের খাওয়া দেওয়া হতো অত্যন্ত নিম্নমানের। এরপর একাডেমির তরফ থেকে তাদের ছেড়ে দেওয়ার নোটিশ দেওয়া হলেও উত্তর পায়নি তারা। অভিযোগ দায়ের হয় কলকাতা পুলিশের একাধিক শাখায়। এগিয়ে আসে ইন্ডিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। কর্ণাটক রাজ্য পুলিশের সহায়তায় পরিবারের কাছে ফিরতে সফল হয় সেখানে থাকা সব ফুটবলার।

জানা যায়, তাদের কারো সাথে ভালো ব্যবহার করা হতো না। বাড়ি ফেরার জন্য তাদের প্রত্যেকের কাছে ২০ হাজার টাকা করে চাওয়া হয় সেই ক্লাবের তরফ থেকে। পরিবারের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় আতংকের মধ্যে পড়ে যায় সবাই। সোনারপুর একাডেমির তরফে জানা যায়, ক্লাবের বিরুদ্ধে ফেডারেশনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন তারা। কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জিও করা হয়েছে। সোনালী আলোয় আবৃত ভারতীয় ফুটবলের এমন কালো দিক প্রশ্নের মুখে ফেলেছে দেশের ফুটবলের উন্নতিকে। বড়ো হয়ে এদের মধ্যেই অনেকেই হয়তো হয়ে উঠবে ভারতীয় ফুটবলের ভবিষ্যত। তাদের উপর এমন অমানবিক ব্যবহার পরিচয় দিচ্ছে চূড়ান্ত অপেশাদারীত্বের।

Enable Notifications OK No thanks