ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের মহিলা ফুটবল টিমের ইতিহাসে সর্বপ্রথম বিদেশী খেলোয়াড় রূপে খেলতে এলেন বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের খেলোয়াড় সানজিদা আক্তার। ২২ বছর বয়েসী আক্রমণাত্মক মাঝমাঠের খেলোয়াড় সানজিদা বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের বয়েস ভিত্তিক সব বিভাগে কৃতিত্বের সাথে খেলেছেন। অনুর্দ্ধ ১৪, অনুর্দ্ধ ১৬, অনুর্দ্ধ ১৮, অনুর্দ্ধ ১৯ বিভাগে বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন সানজিদা এবং বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ফুটবল টিমের নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড়। ২০২২ এ বাংলাদেশের সাফ ওমেনস চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ে সানজিদার অবদান অনস্বীকার্য।

বাংলাদেশের ময়মনসিংহের ধোবাউরাতে জন্ম সানজিদার। সেখানকার কালিসিন্দুর গভর্মেন্ট প্রাইমারি স্কুলের হয়ে তার ফুটবল খেলা শুরু, পরবর্তীতে তিনি খেলেছেন বসুন্ধরা কিংসের হয়ে।

অবিভক্ত ভারতে সানজিদার জন্মস্থান ময়মনসিংহ থেকে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে বহু দিকপাল খেলোয়াড় খেলে গেছেন I তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য –

মণিভূষণ (ভানু) দত্ত রায় – ইনি ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের দ্বিতীয় অধিনায়ক (১৯২৩)। ময়মনসিংয়ে জন্ম প্রখ্যাত এই ডিফেন্ডার ১৯২১ থেকে ১৯৩৪ একটানা ১৪ বছর ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে খেলেছেন।

রাখাল মজুমদার – ইস্টবেঙ্গল ক্লাব প্রথমবারে শিল্ড চ্যাম্পিয়ন হয় ১৯৪৩ সালে রাখাল মজুমদারের অধিনায়কত্বে। ময়মনসিংয়ে জন্ম প্রখ্যাত এই ডিফেন্ডার ১৯৩৭-১৯৫১ একটানা ১৫ বছর ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের হয়ে কৃতিত্বের সাথে খেলেছেন।

ভূপেন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত (পাখি সেন) – ময়মনসিংয়ে জন্ম প্রখ্যাত এই ফরওয়ার্ড ১৯৩৭ সালে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে খেলেন, অবশ্য রেলের চাকরির কারণে পরবর্তীতে তার আর ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলা সম্ভব হয় নি। ১৯৩৭ এ ইস্টবেঙ্গলে থাকার সময় ঢাকাতে অপ্রতিরোধ্য ইংল্যান্ডের ইসলিংটন কোরিন্থিয়ান টিমকে ঢাকা একাদশ ১-০ গোলে পরাজিত করে, সেই ম্যাচের একমাত্র গোলটি ছিল পাখি সেনের। এই দলটি তাদের ভারত সফরে ৩১ টি ম্যাচে ২৫ টি জয়ী হয়,অমীমাংসিত থাকে ৫ টি ম্যাচ আর ১ টি ম্যাচে তারা পরাজয় বরণ করে। কলকাতা উয়ারী ক্লাবের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন পাখি সেন।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে অনেক খ্যাতনামা বাংলাদেশের খেলোয়াড় খেলে গেছেন। তারা হলেন, ১৯৮৬ তে খন্দকার ওয়াসিম ইকবাল, ১৯৯১ ও ৯৩ এ মোনেম মুন্না, ১৯৯১ এ রিজভী করিম রুমি, গোলাম মোহাম্মদ ঘাউস ও শেখ মোহাম্মদ আসলাম, ১৯৯৫ এ রাকিব হোসেন ও মিনাজুর রহমান।

Enable Notifications OK No thanks