শেষমেষ মোহনবাগানের অভিযোগেই সিলমোহর দিল সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। গতকাল অনূর্ধ্ব ১৭ ইয়ুথ লীগের ডার্বিতে গোলশূন্যভাবে ড্র হয় ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগান ম্যাচ। লীগ টেবিলে দুই দলের পয়েন্ট সংখ্যা এক হলেও গোল ব্যবধানে এগিয়ে লাল হলুদ ব্রিগেড। তবে প্রথম লেগের ডার্বি ঘিরে এবার বড়ো সমস্যায় তারা।

টুর্নামেন্টের প্রথম লেগে ইস্টবেঙ্গলের কাছে ৪-০ গোলে হেরে যায় মোহনবাগান। তবে ম্যাচের পর বিপক্ষের ছয় খেলোয়াড়ের বয়স বাড়ানোর অভিযোগ আনে সবুজ মেরুন ব্রিগেড। প্রথম দিকে এই অভিযোগ ভিত্তিহীন মনে হলেও ধীরে ধীরে সামনে আসে একাধিক তথ্য। দীর্ঘদিন তদন্ত চলার পর অবশেষে ইস্টবেঙ্গলের সেই ছয় খেলোয়াড়কে সাসপেন্ড করল ফেডারেশন। জানা গেছে তাদের মধ্যে একজন খেলোয়াড় আগে মোহনবাগানের জুনিয়র দলে খেলত। অনূর্ধ্ব ১৭ ইয়ুথ লীগে রেজিস্ট্রেশনের সময় আধার কার্ডে তার নাম পরিবর্তন করা হলেও বাবার নাম পরিবর্তন হয়নি।

আরও পড়ুন: সুপার কাপে বাংলার বাজিমাত! প্রথম দিনেই সমানে সমানে ইস্ট-মোহন

ছয় খেলোয়াড়কে শাস্তি দিলেও ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কি না সেই বিষয়ে এখনও কিছু জানায়নি ফেডারেশন। তবে মোহনবাগান কর্তাদের দাবি, খেলোয়াড়দের বয়স বাড়ানোর পেছনে হাত রয়েছে ক্লাবেরও। তাই তাদেরও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া উচিত। ফেডারেশন সূত্রে খবর আরও তদন্ত করে তারপর ক্লাবের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে তারা। বাতিল হতে পারে দুই দলের প্রথম লেগের ডার্বির পয়েন্টও।

সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের এমন সিদ্ধান্তের পর আপাতত সেই ছয় ফুটবলারকে ছাড়াই খেলবে ইস্টবেঙ্গল। তার চাইতেও বড়ো ব্যাপার ক্লাবকেও শাস্তির আওতায় আনা হলে পুরো টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে জেতে পারে তারা। সেক্ষেত্রে জুনিয়র দলের যুদ্ধে অনেকটাই এগিয়ে যাবে সবুজ মেরুন ব্রিগেড। সেই সাথে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের এমন পদক্ষেপে প্রশ্ন উঠছে কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়েও।

Enable Notifications OK No thanks