
ডুরান্ড কাপে জয় দিয়ে অভিযান শুরু করল ইস্টবেঙ্গল। বুধবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে একতরফা ম্যাচে বেঙ্গালুরুর সাউথ ইউনাইটেড এফসিকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিল লাল-হলুদ ব্রিগেড। দ্বিতীয় ডিভিশনের দলের বিরুদ্ধে গোটা ম্যাচে আধিপত্য বজায় রাখে অস্কার ব্রুজ়োর শিষ্যরা। যদিও কিছু সহজ সুযোগ নষ্ট না হলে ব্যবধান আরও বড় হতে পারত।
তবে বড় জয়ের মধ্যেও ফুটবলভক্তদের মনে কিছুটা উদ্বেগ থেকেই গেল। মরসুমের প্রথম ম্যাচে স্প্যানিশ কোচ ব্রুজ়োর দলের খেলায় এখনও বোঝাপড়ার ঘাটতি স্পষ্ট। মাত্র তিন দিনের প্রস্তুতিতেই জয় এলেও, সামনে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ এলে চ্যালেঞ্জ বাড়বে বই কমবে না।
ম্যাচের ১২ মিনিটেই ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন চুংনুঙ্গা। বক্সের বাইরে থেকে তাঁর নেওয়া দুর্দান্ত শট ঠেকাতে ব্যর্থ হন প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক। এরপর ৩৭ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সাউল ক্রেসপো। বক্সে এডমুন্ডকে ফাউল করায় পেনাল্টির নির্দেশ দেন রেফারি, সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেননি অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার।
দ্বিতীয়ার্ধে বড় ধাক্কা খায় ইস্টবেঙ্গল শিবির। ৫৮ মিনিটে গোড়ালিতে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন বিষ্ণু। তাঁর জায়গায় নামেন গ্রিক স্ট্রাইকার দিয়ামানতাকোস। কিছুক্ষণের মধ্যেই আক্রমণে গতি ফেরে। ৭২ মিনিটে মাঠে নামেন নতুন সাইনিং বিপিন সিংহ। নামার ঠিক ৭ মিনিট পর, দিয়ামানতাকোসের পাস থেকে গোল করে দলের তৃতীয় সাফল্য এনে দেন তিনি।
শেষ দশ মিনিটে দুই গোল করে ইস্টবেঙ্গল স্কোরলাইন ৫-০ করে তোলে। ৮৬ মিনিটে গ্রিক স্ট্রাইকার দিয়ামানতাকোস নিজেই গোল করেন, আর ৮৯ মিনিটে দূরপাল্লার শটে দলের পঞ্চম গোলটি করেন নাওরেম মহেশ।
উদ্বোধনে জমজমাট আয়োজন
ম্যাচ শুরুর আগে আয়োজিত হয় জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বল ছুঁড়ে টুর্নামেন্টের সূচনা করেন। উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি, দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু ও সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডের কর্মকর্তারা। বাংলার সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে আয়োজন করা হয় ছৌ নাচ, বাউল গান, ‘এয়ার শো’, ‘কুকরি শো’, ‘ভাংড়া’ এবং মার্শাল আর্ট প্রদর্শনীর।
দুরন্ত শুরু পেলেও ইস্টবেঙ্গলের সামনে এখনও অনেক কাজ বাকি। খেলায় গতি ও ফিনিশিংয়ে উন্নতি না এলে ডুরান্ড কাপের দীর্ঘ পথ সহজ হবে না — এই সতর্কবার্তা মাথায় রেখে এগোতে হবে ব্রুজ়োর দলকে।
