গত ম্যাচে মুম্বাই সিটি এফসিকে তাদের ঘরের মাঠে আটকে দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। এবার পালা জয়ে ফেরার। সেই লক্ষ্যেই আগামীকাল ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে নামবে লাল হলুদ ব্রিগেড। গত দুই মরশুমের মত এবারও যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন সেভাবে ভালো সাথ দিচ্ছে না দলকে। চলতি আইএসএলে কলকাতায় মোট ছয় ম্যাচ খেলেছে ইস্টবেঙ্গল। তার মধ্যে দুটি জয়, দুটি ড্র এবং দুটি ম্যাচ হেরেছে তারা। এবার সময় এই পরিসংখ্যান বদলানোর।
চলতি মরশুমের শুরুটা ভালো না হলেও বর্তমানে দারুন ছন্দে রয়েছে ওড়িশা এফসি। গত পাঁচ ম্যাচের মধ্যে চারটিতেই জিতেছে তারা। গত ছয় ম্যাচ ধরে অপরাজিত দল। তাই তাদের নিয়ে যথেষ্ট সচেতন কার্লোস কুয়াদ্রাত। ম্যাচের আগে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “গত আট ম্যাচ (আইএসএল এবং এএফসি কাপ) ধরে অপরাজিত রয়েছে ওড়িশা এফসি। তার মধ্যে মাত্র একটি ম্যাচ ড্র। চারটে ক্লিন শিটও রেখেছে তারা। এই ছন্দ নিয়ে তারা যুবভারতীতে নামবে। তাই ওদের বিরুদ্ধে ম্যাচটা আমাদের জন্য বেশ কঠিন হবে। সর্জিও লোবেরাকে খুব ভালো করেই চিনি। খুব ভালো সম্পর্ক আমাদের মধ্যে। বার্সেলোনায় ২০ বছর আগে একসাথে কাজ করেছি। তবে এখন পরিস্থিতি একেবারেই আলাদা। ওরা আমাদের হারানোর চেষ্টা করবে এবং আমরাও সেই চেষ্টাই করব। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কে পয়েন্ট জেতে।”
আরও পড়ুন: এ কি রেফারিং? না মানসিক অবসাদের বহিঃপ্রকাশ?
প্রতিপক্ষ কঠিন হলেও হার মানতে নারাজ কার্লোস। বলেন, “এই ম্যাচ থেকে এক পয়েন্ট পেলে একদমই খুশি হবো না। চলতি মরশুমে আমরা মাত্র দুটি ম্যাচেই জয় পেয়েছি। আরও জয় দরকার। প্লে অফে খেলার স্বপ্ন দেখছি। তাই আমাদের জিততেই হবে। আমার মনে হয় যে কোনো দলকেই আমরা হারাতে পারি। গত কিছু ম্যাচে আমরা জয়ের কাছাকাছি গিয়ে ফিরে এসেছি। কখনও এক গোলে জিতেছি, আবার কখনও এক গোলে হেরে গেছি। অর্থাৎ একটা ভালো জায়গাতেই রয়েছি আমরা।”
চলতি মরশুমে ছন্দের আগুন ঝরছে ওড়িশা এফসির খেলায়। রয় কৃষ্ণা, আহমেদ জহু এবং দিয়েগো মরিসিওর ত্রিফলা আক্রমণে বিদ্ধস্থ হয়েছে একাধিক দল। এই নিয়ে সচেতন ইস্টবেঙ্গল কোচ। বিশেষ করে বিপক্ষের সেট পিস আক্রমণ নিয়ে বিশেষ কাজ করছেন তিনি। খেলোয়াড়দের সেভাবে তৈরি করছেন কার্লোস। এবার দেখার শেষমেষ ইনফর্ম ওড়িশার বিরুদ্ধে দর্শক ভরা মাঠে পুরো পয়েন্ট তুলতে পারে কি না লাল হলুদ ব্রিগেড।