আইএসএলে হারের ধারা অব্যাহত ইস্টবেঙ্গলের। আজ কেরালার বিরুদ্ধে লীগের তৃতীয় হার দলের। আগেই চার ম্যাচে দুই ম্যাচ হেরে প্রেসারে ছিল দল। আজকের রেজাল্টে যেন মাথাচাড়া দিয়ে উঠল সেই পুরোনো রোগ। ম্যাচে বল পজিশন ধরে রাখলেও বিপক্ষের কাউন্টারে বিধ্বস্ত দলের রক্ষন।
ঘরের মাঠে ম্যাচ হলেও যেন বিপক্ষের সমর্থকদের প্রেসার ঘিরে ধরেছিল দলকে। গ্যালারিতে উপস্থিত ছিল কেরালা ব্লাস্টার্সের একাধিক সমর্থক। শুরু থেকে দু’দল চেষ্টা চালিয়ে গেলেও সেভাবে সুযোগ পায়নি কেউই। তবে হাফটাইমের আগে প্রথম কাউন্টার থেকেই নিজেদের প্রথম গোল তুলে নেয় কেরালা। ৩২ মিনিটের মাথায় ম্যাচের প্রথম গোলটি করে জাপানিজ উইঙ্গার দাইসুকে সাকাই। লিড নেওয়ার পর আক্রমণে ঝাঁঝ বাড়ায় কেরালা। তবে প্রথম ৪৫ মিনিটে এর পর আর গোল আসেনি।
আরও পড়ুন: লাজং এর বিরুদ্ধে আটকে গেলো মহামেডান
দ্বিতীয় হাফের শুরুতেই দুটো বদল করে ইস্টবেঙ্গল। হারমানজোত খাবরার পরিবর্তে নামে সৌভিক চক্রবর্তী এবং সাউল ক্রেসপোর পরিবর্তে নামে হিজাজি মাহের। উল্লেখ এদিনই প্রথম আইএসএলে অভিষেক হয় মাহেরের। এরপর একাধিক সুযোগ তৈরি হলেও ম্যাচের ৮০ মিনিট পর্যন্ত গোলশূন্য ভাবেই চলে খেলা। ৮২ মিনিটে ম্যাচের সবচেয়ে বড়ো ভুলটি করে ক্লেইটন সিলভা। পেনাল্টি পেয়েও হাতছাড়া হয় সমতা ফেরানোর সুযোগ। ক্লেইটনের নেওয়া পেনাল্টি সেভ করে কেরালার গোলরক্ষক। ফিরতি বল আবার ক্লাইটনের পায়ে এলে ফাঁকা গোলপোস্ট পেয়েও বল জালে জড়াতে পারেনি সে। এর ঠিক ৮ মিনিট পরেই খেলার মোর ঘুরিয়ে দেয় দিমিত্রিওস। ফ্রিকিক থেকে নেওয়া শট ইস্টবেঙ্গলের রক্ষন ভেদ করে তার পায়ে এলে সেখান থেকে গোল করতে একদমই ভুল করেনি সে। গোল করার পর জার্সি খুলে সেলিব্রেশন করার জন্য লাল কার্ড দেখতে হয় তাকে। দ্বিতীয় হাফের অতিরিক্ত সময়ে আবারও পেনাল্টি পায় ইস্টবেঙ্গল। তবে সেখান থেকে গোল করতে ভুল করেনি ক্লেইটন। ৯০ মিনিট শেষে খেলার ফলাফল দাঁড়ায় ১-২।
পরপর তিন ম্যাচ হারার পর আবারও প্রশ্ন উঠছে ইস্টবেঙ্গলের দলগঠন নিয়ে। গত কিছু মরশুমে পর্যাপ্ত সময়ের অজুহাত দিলেও এবার আর সেই অজুহাত খাটবে না। চলতি মরশুমে ভারতীয় ব্রিগেডে খানিকটা উন্নতি এলেও বিদেশি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে অন্যান্য দলের বেঞ্চের খেলোয়াড়দের। মূলত বাজেট সমস্যার কারণেই দীর্ঘদিন থেকে ভুগে চলেছে ক্লাব। হতশ্রী পারফরম্যান্স প্রায় সব টুর্নামেন্টেই। কবে সুদিন ফিরবে লাল হলুদ শিবিরে? উত্তরটা সবারই অজানা।