চলতি সুপার কাপে এখনও পর্যন্ত অপরাজিত রয়েছে ইস্টবেঙ্গল। উইনিং পার্সেন্টেজ ১০০%। প্রথম ম্যাচে হায়দ্রাবাদকে হারিয়ে সূচনা করেছিল লাল হলুদ ব্রিগেড। দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীনিধিকে হারিয়েছিল দল। লীগের সবচাইতে কঠিন প্রতিপক্ষ ছিল মোহনবাগান। শেষ ম্যাচে তাদেরও ৩-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে সেমিফানাল চূড়ান্ত করেছে মশাল বাহিনী।
আজ সেমিফাইনালের প্রথম ম্যাচে প্রতিপক্ষ জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে নামবে ইস্টবেঙ্গল। চলতি আইএসএলে জামশেদপুরের ছন্দ খুব একটা ভালো না হলেও সুপার কাপে অপরাজিত তারাও। গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচ খেলে তিনটিতেই জয় পেয়েছে ড্যানিয়েল চিমা চুকুরা। সেই সাথে তাদের দলে প্রধান কোচ হিসেবে এসেছেন খালিদ জামিল। তার তত্ত্বাবধানে বেশ আক্রমণাত্মক রূপ ধারণ করেছে জামশেদপুর।
অন্যদিকে টুর্নামেন্টের শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে ইস্টবেঙ্গল। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা ক্লেইটন সিলভা। তিন ম্যাচে চার গোল রয়েছে তার নামে। ম্যাচের আগের দিন খেলোয়াড়দের নিয়ে প্রায় আধ ঘণ্টা বৈঠক করেছেন কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। সেখানে সবাইকে নিজের দায়িত্ব পুরোপুরি বুঝিয়েছেন তিনি। আগামী ম্যাচে মান্দারের উপস্থিতি নিয়ে তৈরি হয়েছিল বড়ো সংশয়। তবে ম্যাচের আগে পুরো দমে প্রস্তুতি নিতে দেখা গেল তাকে। কার্ড সমস্যায় সেমিফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ন ম্যাচে দলের বাইরে থাকতে হবে বিদেশি মিডফিল্ডার বোরহা হেরেরাকে। তার বদলে প্রথম এগারোয় থাকতে পারে বিষ্ণু।
শুধু আইএসএল নয়, সুপার কাপেও বাজে রেফারিংএর শিকার হয়েছে ইস্টবেঙ্গল, এদিনও সেটাই জানালেন দলের হেডকোচ। ডার্বিতে রেফারির বেশ কিছু সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি তিনি। জানালেন, “সেই ম্যাচে খারাপ রেফারিংএর কারণেই আমরা সেমিফাইনালে বোরহার মতো খেলোয়াড়কে পাবো না। পাঁচ জন বিদেশি নিয়ে আমাদের খেলতে হবে। সেদিন ওরা শুধু রেফারির সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিল। ওই ম্যাচে মোহনবাগানের দুই খেলোয়াড়কে সোজা লাল কার্ড দেখানো উচিত ছিল। আর আমাদের খেলোয়াড়েরা শুধু কথা বলতে যাওয়ার কারণে তিনজনকে একসঙ্গে হলুদ কার্ড দেখানো হল। আমি শুধু এইটুকুই বলতে পারি যে রেফারির ফুটবলারদের মনের কথা বোঝা উচিত।”