পঞ্জাবের বিরুদ্ধে এক অবিশ্বাস্য ম্যাচে দুটি গোল পিছিয়ে পড়ে চার গোলের জয় পাওয়ার পর ইস্টবেঙ্গলের আত্মবিশ্বাস এখন তুঙ্গে। এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে তারা এখন শনিবার ঘরের মাঠে জামশেদপুরের বিরুদ্ধে পরপর দ্বিতীয় জয় তুলে নেওয়ার লক্ষ্যে প্রস্তুত।
এদিনের ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল দলের পরিবেশ বদলে যাওয়ার কারণ হচ্ছে পঞ্জাবের বিপক্ষে পিছিয়ে পড়ে আবার ম্যাচে ফিরতে সক্ষম হওয়া। কিছুদিন আগেও এমন পরিস্থিতিতে ইস্টবেঙ্গল ম্যাচে ফিরে আসতে পারত না, কিন্তু এখন তাদের খেলার ধরনে এসেছে দৃশ্যমান পরিবর্তন।
জামশেদপুরের বিপক্ষে ম্যাচের আগে দলে কিছু পরিবর্তন হতে পারে। বৃহস্পতিবার মাদিহ তালালের ছিটকে যাওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে ইস্টবেঙ্গল। তবে দল আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে কার্ড সমস্যার কারণে ফিরে আসা জিকসন সিংহের মাধ্যমে। আগের ম্যাচে চোট পাওয়া নাওরেম মহেশও এবার মাঠে নামতে প্রস্তুত, তবে তাকে শুরুর একাদশে রাখা হবে কিনা সেটা এখনো নিশ্চিত নয়।
কোচ অস্কার ব্রুজ়ো আনোয়ার আলিকে মাঝমাঠে ডিফেন্সিভ ব্লকার হিসেবে খেলানোর পরিকল্পনা করতে পারেন, যার ফলে জিকসন সিংহকে বেঞ্চে বসতে হতে পারে। পাশাপাশি, মহেশকে শুরুর একাদশে না নামিয়ে পিভি বিষ্ণুকে মাঠে নামানো হতে পারে। দিমিত্রিয়স দিয়ামানতাকোসকেও শেষের দিকে নামানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
ম্যাচের আগের দিন ব্রুজ়ো দলের বদল নিয়ে কোনো বড় সিদ্ধান্ত নেননি। তিনি জানিয়েছেন, “আমি দল অপরিবর্তিত রাখতেই পছন্দ করি। অকারণে বদল আনার মত কোচ আমি নই। দিয়ামানতাকোস, মহেশ, জিকসনরা ভালই অনুশীলন করেছে, তবে খেলাব কিনা সেটি এখনো ঠিক করিনি।”
শনিবারের ম্যাচটি ইস্টবেঙ্গলের জন্য এ বছরের শেষ ম্যাচ এবং তারা জানে জামশেদপুরকে হারালে তারা পয়েন্ট তালিকায় আরও উপরে উঠে যেতে পারবে। ব্রুজ়ো জানিয়েছেন, “জামশেদপুর শক্তিশালী দল, তবে আমাদের যদি নিজেদের কাজ ঠিকভাবে করতে পারি, তবে জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।”
তিন পয়েন্টে নজর রেখে কোচ বলেছেন, “আমরা প্রথম ছয়ে শেষ করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করব। জামশেদপুরের বিপক্ষে জিততে পারলে আমরা পয়েন্ট তালিকায় আরও উপরে উঠব। আশা করি, হায়দরাবাদের সঙ্গে পরবর্তী ম্যাচে আমাদের পরিকল্পনা সফল হবে এবং আমরা বছরের শেষটা ভালোভাবে শেষ করতে পারব।”
এটা স্পষ্ট যে, ইস্টবেঙ্গল তাদের লক্ষ্য পূরণে সমস্ত শক্তি দিয়ে মাঠে নামবে, এবং কোচ ব্রুজ়োও তার দলকে সেই লক্ষ্য অর্জনে প্রস্তুত রাখতে কাজ করে যাচ্ছেন।