
অস্কার ব্রুজন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ইমামি ইস্টবেঙ্গল ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছিল। যদিও একসময় টানা ছয়টি ম্যাচে পরাজয়ের পর দল পৌঁছে গিয়েছিল পয়েন্ট টেবিলের একেবারে নিচে, তবুও স্প্যানিশ কোচের উপর আস্থা রেখে সমর্থকরা নতুন করে আশাবাদী হয়ে উঠেছিলেন সুপার সিক্সে জায়গা পাওয়ার বিষয়ে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি।
এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে ভালো কিছু করার লক্ষ্যে মাঠে নামলেও, তুর্কমেনিস্তানের ক্লাব আরকাদাগ এফসির কাছে দুই লেগেই হেরে হতাশ করেছে লাল-হলুদের পারফরম্যান্স। স্বাভাবিকভাবেই সমর্থকদের মধ্যে হতাশা ছড়িয়ে পড়ে।
তবে গতবারের মতো এবারও মরসুম শেষ করার লক্ষ্য স্থির করেছে কলিঙ্গ সুপার কাপ জয়ের মধ্যে দিয়ে। তবে এবারের লড়াইটা যে আরও কঠিন হতে চলেছে, তা বলাই বাহুল্য। কারণ এবারের প্রতিযোগিতার ফরম্যাটে এসেছে বড় পরিবর্তন। আগেরবার যেখানে গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে শুরু হত নকআউট পর্ব, সেখানে এবার সরাসরি ১৬ দলের অংশগ্রহণে হবে এই টুর্নামেন্ট। আইএসএলের তেরোটি দলের পাশাপাশি এবার সুযোগ পেয়েছে আই-লিগের তিনটি ক্লাবও। ফলে প্রতিযোগিতার মান এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা, দুটোই বেড়েছে অনেকটা।
এই কঠিন লড়াইয়ের প্রস্তুতিতেই এখন মনোযোগী ইস্টবেঙ্গল। শুরু হয়ে গেছে অনুশীলনও। তবে অনুশীলনে অনুপস্থিত ছিলেন দলের অন্যতম তারকা ফরোয়ার্ড রিচার্ড সেলিস। চলতি আইএসএলের মাঝপথে ভেনেজুয়েলার এই স্ট্রাইকারকে দলে নিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। প্রথমদিকে স্কিলফুল পারফরম্যান্স দিয়ে নজর কাড়লেও, পরবর্তীতে নিজের ছন্দ ধরে রাখতে ব্যর্থ হন তিনি। মাঝে দেখা গিয়েছিল পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে, আর এবার অনুশীলনে তাঁর অনুপস্থিতি নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
এদিকে অন্যদিকে, জাতীয় দলের তরুণ ডিফেন্ডার আনোয়ার আলির ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠা নিঃসন্দেহে বড় স্বস্তির খবর লাল-হলুদ শিবিরের জন্য। ফিট আনোয়ার দলে ফিরলে ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্সে জোর বাড়বে বলেই আশাবাদী কোচিং স্টাফ।
সবমিলিয়ে, এবার মরসুমের শেষ দিকেও সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটাতে মরিয়া লাল-হলুদ ব্রিগেড।