২০১১ সালে শেষবার কোনো বড়ো ট্রফি জয়ের আনন্দে মেতেছিল ইস্টবেঙ্গল সমর্থকেরা। দীর্ঘ এক দশক পর আজ আবার খুশির জোয়ার লাল হলুদ শিবিরে। ওড়িশা এফসিকে হারিয়ে সুপার কাপ ঘরে তুলল তারা। প্রথম ম্যাচ থেকেই দেখা গেছে দলের লড়াকু মনোভাব। ডার্বিতেও মোহনবাগানকে অনায়াসে হারিয়ে গ্রুপ টপার হয়ে সেমিফাইনালে উত্তীর্ণ হয়েছিল দল। সেখানে জামশেদপুর এফসিকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা পাকা করেছে ইস্টবেঙ্গল। আজ ফাইনালে ওড়িশাকে হারিয়ে শাপমুক্ত লাল হলুদ ব্রিগেড।

ম্যাচের শুরুটা মনমতো করতে পারেনি কার্লেস কুয়াদ্রাতের দল। প্রথম হাফে ডিয়াগো মোরিসিওর গোলে পিছিয়ে পড়েছিল তারা। দ্বিতীয় হাফের শুরুর দিকে সেই গোলের জবাব দেয় নন্দকুমার। তার ঠিক দশ মিনিট পর সাউল ক্রেসপোর পেনাল্টি থেকে করা গোলে লিড নেয় ইস্টবেঙ্গল। যদিও সেই পেনাল্টি নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। দ্বিতীয় হাফের শেষ মিনিট পর্যন্ত সেই গোলের জবাব দিতে পারেনি ওড়িশা এফসি। একসময় মনে হচ্ছিল হয়তো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই ট্রফি জিতে যাবে লাল হলুদ ব্রিগেড। কিন্তু অতিরিক্ত সময়ে ওড়িশার হয়ে সমতা ফেরায় আহমেদ জাহু। ৯০ মিনিট শেষে খেলার ফলাফল দাড়ায় ২-২।
অতিরিক্ত সময়ের প্রথম হাফে গোলের ব্যবধান বাড়াতে পারেনি কোনো দল। তবে দ্বিতীয় হাফের শুরুতেই ম্যাচের শেষ গোলটি করে ক্লেইটন সিলভা। সেই গোলের সুবাদেই সুপার কাপ ২০২৪ এর ট্রফি ঘরে তোলে মশাল বাহিনী। শুধু তাই নয়, আগামী এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২ এর প্রিলিমিনারী রাউন্ডে নিজেদের জায়গা পাকা করল লাল হলুদ ব্রিগেড। জর্ডান, তাজিকিস্তান, বাহরাইন, কুয়েত এবং তুর্কমেনিস্তানের দলগুলোর সাথে এই টুর্নামেন্টে প্রতিনিধিত্ব করবে ইস্টবেঙ্গল।

সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন হবার পর এবার আইএসএলেও ভালো রেজাল্টের পেছনে দৌরবে ইস্টবেঙ্গল শিবির। কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের হাত ধরে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শিখছে সমর্থকেরা। দীর্ঘদিনের হতাশা কাটিয়ে ফের আশার আলো ক্লাবে। আর সেই আশা নিয়েই এগোতে চাইছে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকেরা।