ইস্টবেঙ্গলের জন্য চলতি মরশুম একের পর এক ধাক্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ডুরান্ড কাপ এবং এশিয়ান প্রতিযোগিতায় ব্যর্থতার পরে ইন্ডিয়ান সুপার লিগে টানা ছয়টি ম্যাচে পরাজয়ের সম্মুখীন হয়েছে লাল-হলুদ ব্রিগেড। তবে সমস্ত প্রতিকূলতা পেছনে ফেলে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে নিজেদের প্রমাণের লক্ষ্যে ভুটানে অভিযান শুরু করেছে ময়দানের এই ঐতিহ্যবাহী দল। সেখানেই দ্বিতীয় ম্যাচে শক্তিশালী বসুন্ধরা কিংসকে ৪-০ গোলে পরাজিত করে উদ্দীপনা ফিরে পেয়েছে ইস্টবেঙ্গল শিবির। পরবর্তী ম্যাচে তাঁদের প্রতিপক্ষ লেবাননের নেজমেহ এসসি। তবে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছাতে হলে এই ম্যাচে জয় অথবা ড্র অত্যন্ত জরুরি।
এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে প্রথম ম্যাচে ভুটানের পারো এফসির সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে লিগে নিজেদের স্থান মজবুত করতে মরিয়া হয়ে ওঠে ইস্টবেঙ্গল। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে বসুন্ধরা কিংসকে হারিয়ে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে দলটি। তবে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে নেজমেহের বিরুদ্ধে জয় ছাড়া ইস্টবেঙ্গলের জন্য কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার রাস্তা মসৃণ হবে না।
গ্রুপে আপাতত নেজমেহ দুই ম্যাচে দুটি জয় নিয়ে শীর্ষে এবং ইস্টবেঙ্গল এক জয় ও এক ড্র নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে। শেষ ম্যাচে বসুন্ধরা যদি পারো এফসির কাছে পরাজিত হয়, তবে ইস্টবেঙ্গলের জন্য একটি জয় অথবা ড্র নিশ্চিতভাবে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছানোর পথে সহায়ক হবে।
তবে ইস্টবেঙ্গলের জন্য একটি দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে স্প্যানিশ ডিফেন্ডার হেক্টর ইউস্তের ইনজুরি। বসুন্ধরার বিপক্ষে ম্যাচে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে। ১লা নভেম্বর নেজমেহর বিপক্ষে ম্যাচে তিনি আদৌ খেলতে পারবেন কি না, তা নির্ভর করছে তাঁর ‘এমআরআই’ রিপোর্টের ওপর। এর মধ্যেই বুধবার তাঁকে ছাড়াই অনুশীলন করেছে ইস্টবেঙ্গল দল। আসন্ন ম্যাচে সৌভিক ও আনোয়ারেরা জয়ের লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামতে প্রস্তুত।
বসুন্ধরার বিপক্ষে জয়ের পরে ইস্টবেঙ্গলের কোচ অস্কার ব্রুজো বলেন, “এই জয় আমরা তাঁদেরই উৎসর্গ করছি যারা কঠিন সময়ে আমাদের পাশে ছিলেন। পরিস্থিতি উন্নতির জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।”