কলকাতা ময়দানে কোচ পরিবর্তনের ইতিহাস নতুন কিছু নয়। দলের খারাপ ফল হলেই কর্তারা নিজেদের ঘনিষ্ঠ সমর্থকদের লেলিয়ে দিয়ে কোচকে চাপের মুখে ফেলার ঘটনা বহুবার ঘটেছে। এবার কি সেই একই পরিস্থিতির সামনে পড়তে চলেছেন ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজো? লিগে টপ-সিক্সে থাকার লড়াই কঠিন হয়ে পড়েছে লাল-হলুদের জন্য, যেখানে তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগান শিল্ড জয়ের দ্বারপ্রান্তে।

শনিবার মহামেডানের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে ইস্টবেঙ্গলের সামনে কঠিন সমীকরণ। প্রথম ছয়ে থাকতে হলে বাকি পাঁচটি ম্যাচেই জিততে হবে, যেখানে প্রতিপক্ষ হিসেবে রয়েছে নর্থইস্ট ইউনাইটেড এবং পঞ্জাব এফসি-র মতো দলও। শুধু নিজেদের ম্যাচ জয়ই নয়, প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর নির্দিষ্ট সংখ্যক পয়েন্ট হারানোও প্রয়োজন, যা কার্যত অসম্ভব।

এই পরিস্থিতিতে ম্যাচের আগের সাংবাদিক বৈঠকে অস্কার ব্রুজো নিজের পাশাপাশি ক্লাবের সকলের পদত্যাগ দাবি করেন। তিনি স্পষ্ট জানান, ‘ক্লাবে প্রতিটি স্তরেই সমস্যা রয়েছে। আমরা যদি ধারাবাহিকভাবে হেরে যাই, তাহলে এখানে থাকার অধিকার নেই। এটি শুধু কোচ এবং খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রেই নয়, টিম ম্যানেজমেন্টের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ক্লাবকে যেখানে থাকা উচিত, আমরা সেখানে নিয়ে যেতে পারিনি। সমালোচনা আমাদের শুনতেই হবে।’

তবে কোচ ব্যর্থতার দায় স্বীকার করলেও, ইস্টবেঙ্গল কর্তারা তা করতে নারাজ। বরং ঘনিষ্ঠ মহলে তাঁরা ব্যর্থতার জন্য কোচকেই দায়ী করছেন। বছরের পর বছর ক্লাব পরিচালনায় থাকা কর্তাদের এই মনোভাব ধীরে ধীরে সংক্রমিত হচ্ছে ক্লাবের অন্যান্য স্তরেও। দলের অনুশীলনের সময় সমর্থকদের বিক্ষোভও সেই চাপা উত্তেজনাকে প্রকাশ্যে এনে দিয়েছে।

ম্যাচের আগে কোচের এই বিস্ফোরক মন্তব্য এবং কর্তাদের নীরবতা ইঙ্গিত দিচ্ছে, ইস্টবেঙ্গলের ভেতরে চাপা অস্থিরতা বাড়ছে। এই টানাপোড়েন ক্লাবের ভবিষ্যতে কী প্রভাব ফেলবে, তা সময়ই বলবে।

Enable Notifications OK No thanks