আগামী ২৪ অক্টোবর বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে এএফসি কাপের ম্যাচ খেলতে নামবে মোহনবাগান। প্রথমে মাঠ নিয়ে খানিকটা সমস্যা থাকলেও আপাতত সবকিছু ঠিকঠাক। দুর্গাপূজার কারণে অনুপলব্ধ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন। তাই ম্যাচ সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ওড়িশা এফসির ঘরের মাঠ কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে। টুর্নামেন্টের প্রথম দুই ম্যাচ জিতে আপাতত খানিকটা নিশ্চিন্ত সবুজ মেরুন ব্রিগেড। তবে প্রতিপক্ষ বসুন্ধরা কিংসকেও এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়তে রাজি নয় দল।
রেকর্ড অনুযায়ী বসুন্ধরার বিরুদ্ধে সবসময়ই এগিয়ে মোহনবাগান। ২০২১ এবং ২০২২ এএফসি কাপে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। প্রথমবার খেলার ফলাফল ১-১ থাকলেও দ্বিতীয়বার ৪-০ গোলের বড়ো ব্যবধানে কিংসদের হারায় মোহনবাগান। সেই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছিল দুর্দান্ত ফর্মে থাকা লিস্টন কোলাসো। দুই ম্যাচ মিলিয়ে বসুন্ধরার বিপক্ষে মোহনবাগানের গোলসংখ্যা ৫। অন্যদিকে মোহনবাগানের বিপক্ষে বসুন্ধরার গোল মাত্র একটি। এবারেও সব দিক থেকেই এগিয়ে সবুজ মেরুন ব্রিগেড। চলতি মরশুমেও দুই ম্যাচে দুটি জয় নিয়ে টেবিলের শীর্ষে মোহনবাগান। দুই ম্যাচে একটি জয় এবং একটি হার নিয়ে তৃতীয় স্থানে বসুন্ধরা কিংস।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে রেফারির ভুল সিদ্ধান্তের মাশুল দিতে হলো ভারতকে
তবে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে দলের আভ্যন্তরীণ সমস্যায় ডুবে বাংলাদেশের এই দল। ১৯ সেপ্টেম্বর চলতি মরশুমের এএফসি কাপের প্রথম ম্যাচ খেলতে মালদ্বীপ যায় বসুন্ধরা। সেখানে মাজিয়ার বিরুদ্ধে ৩-১ গোলে হেরে যায় তারা। সেখান থেকে ফিরে আসার পথেই বড়ো বিপত্তি বাঁধায় দলের পাঁচ খেলোয়াড়।
মালদ্বীপ থেকে ফেরার পথে বেআইনি মদ নিয়ে ধরা পড়ে দলের অধিনায়ক তৌহিদুল আলম সবুজ, গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো, ডিফেন্ডার তপু বর্মন, ডিফেন্ডার রিমন হোসেন এবং মিডফিল্ডার শেখ মোরসালিন। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই দলের পাঁচ খেলোয়াড়কে সাময়িক নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন বসুন্ধরা ম্যানেজমেন্ট। দীর্ঘদিন তদন্ত চলার পর খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে একাধিক প্রমান উঠে আসে ক্লাবের হাতে। তাই এবার তাদের ওপর বড়ো শাস্তি ঘোষণা করল বসুন্ধরা কিংস। সবচেয়ে কঠিন শাস্তি পেয়েছেন দলের অধিনায়ক তৌহিদুল। ২০২৩-২৪ এর সম্পূর্ণ মরশুমের জন্যই নিষিদ্ধ করা হয়েছে তাকে। ২০২৪ এর ৩১ মার্চ পর্যন্ত নির্বাসিত গোলরক্ষক জিকো। উল্লেখ এবারের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে সেরা গোলকিপারের সম্মান পেয়েছিল সে। এক লক্ষ টাকা জরিমানা সহ চলতি বছর ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্বাসিত থাকবে ডিফেন্ডার তপু বর্মন। মিডফিল্ডার শেখ মোরসালিনকে এক লক্ষ টাকা এবং ডিফেন্ডার রিমন হোসেনকে তিন লক্ষ টাকা আর্থিক জরিমানা করেছে বসুন্ধরা ম্যানেজমেন্ট।
এই ঘটনার পর এএফসি কাপের দ্বিতীয় ম্যাচে ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধেও এই খেলোয়াড়দের দলে রাখেনি বসুন্ধরা কিংস। গতকাল এই পাঁচ খেলোয়াড়ের শাস্তি ঘোষণা করা হয় ক্লাবের পক্ষ থেকে। তবে মরশুমের মাঝপথে এই ঘটনা বেশ প্রভাব ফেলেছে প্রতিবেশী দেশের ক্লাবে। মোহনবাগানের বিপক্ষে এই মূল খেলোয়াড়দের অনুপস্থিতি আরও সহজ করে দিতে পারে শুভাশিসদের লড়াই।