মরশুমের মাঝপথে এসে বিরাট ধাক্কা খেল ইস্টবেঙ্গল। ফেডারেশনের সিদ্ধান্তে লজ্জা নেমে এলো শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবের। ক্রীড়া জগতে খেলোয়াড়দের বয়স নিয়ে কাটাছেঁড়া করা বর্তমানে স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এবার তারই খেসারত দিচ্ছে লাল হলুদ ব্রিগেড। আধার কার্ড জালিয়াতি এবং বয়স বাড়ানোর অভিযোগে অভিযুক্ত তারা। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় অনূর্ধ্ব-১৭ আই-লীগ থেকে নির্বাসিত করা হলো ইস্টবেঙ্গলকে। প্রতিপক্ষ সরে যাওয়ায় গ্রুপ শীর্ষে থেকে পরবর্তী রাউন্ডের জন্য উত্তীর্ণ হলো মোহনবাগান। শুধু তাই নয়, ডার্বিতে হারানো পয়েন্টও ফিরে পেল সবুজ মেরুন ব্রিগেড।

ঘটনার সূত্রপাত কলকাতা ডার্বি থেকে। সেখানে ইস্টবেঙ্গলের কাছে ৪-০ গোলে হেরে যায় মোহনবাগান। তারপরেই প্রয়োজনীয় নথি সহ ফেডারেশনে চিঠি পাঠায় সবুজ মেরুন ব্রিগেড। প্রতিপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করে এআইএফএর এর শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। জানা যায় ইস্টবেঙ্গলের একাধিক খেলোয়াড় ভুয়ো নথি দিয়ে টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছে। তাদের মধ্যে একজন প্রাক্তন মোহনবাগান খেলোয়াড়। আধার কার্ডে নাম পরিবর্তন করে খেলছিল ইস্টবেঙ্গলের হয়ে।

অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে ইস্টবেঙ্গলের সেই ছয় ফুটবলারকে চার বছরের জন্য নির্বাসিত করে ফেডারেশন। এরপর শুরু হয় ক্লাবের বিরুদ্ধে তদন্ত। অবশেষে ক্লাবকেও টুর্নামেন্ট থেকে সরিয়ে দেয় শৃংখলা রক্ষা কমিটি। মূলত অনূর্ধ্ব-১৭ এবং অনূর্ধ্ব-১৯ দল থেকেই ভারতীয় ফুটবলে জায়গা পায় যুব খেলোয়াড়েরা। তাই সেখানে এইরকম জালিয়াতি বরদাস্ত করতে নারাজ ফেডারেশন।

এই প্রসঙ্গে ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার জানিয়েছেন “আমাদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আগামী ১০ দিনের মধ্যে আবেদন করার সময় দেওয়া হয়েছে। ক্লাবের তরফ থেকে আবেদন করা হবে। সুবিচার না পেলে আমরা আইনি পথে হাঁটব।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, খেলোয়াড়দের বয়স কমানোর জন্য ইস্টবেঙ্গলের সাথে নির্বাসিত হয়েছে মুথুট ফুটবল অ্যাকাডেমিকেও। সবমিলিয়ে বলা যায় জুনিয়র দল নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে লাল হলুদ ব্রিগেড।

Enable Notifications OK No thanks